কলকাতা: শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা আবহে রাজ্যের আবেদনে আদালতের সাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এখনও আলোচনা চলছে। এদিকে আবার মেলার জন্য গঠিত কমিটি এবং কোভিড বিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। গঙ্গাসাগর মেলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আজই মামলা দায়ের হয়, যে মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিন বিশিষ্ট আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র বলেন, একটি কমিটি ২০০১ সালে তৈরি হয়েছিল আগত পুরণার্থীদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সে কারণে। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী (ভাইরালজিস্ট) বা অন্য কোনও চিকিৎসক নিয়োগ করা যেতে পারে বলে আদালতে আবেদন করেন তিনি। অন্যদিকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় জানান, গত ৪ জানুয়ারিতে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল সেই কমিটির কোন সদস্য তাতে আপত্তি জানায়নি। তাহলে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসক অভিজিৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ এক আবেদনকারীর আইনজীবী শ্রীজিব চক্রবর্তী দাবি তোলেন, আদালতের নির্দেশ মত গোটা গঙ্গাসাগর আইল্যান্ডে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। শুধু মেলা গ্রাউন্ডে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তাই স্বরাষ্ট্র সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হোক। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনারা আদালত অবমাননার পিটিশন ফাইল করুন। করছেন না কেন? আইনজীবী জানান, আদালতের ক্ষমতা আছে ব্যবস্থা নেওয়ার। এদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়ে বলা হয় যে তিনি ‘Z’ প্লাস নিরাপত্তা বহন করেন। তিনি গঙ্গাসাগর পরিদর্শন করতে গেলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর জন্যই বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আশাবাদী প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রীয় অথবা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অথবা সদস্যদের গঙ্গাসাগর মেলা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিলেই হবে।
গোটা বিষয়ের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, রাজ্যের কী বলার আছে গঙ্গাসাগর মেলা প্রসঙ্গে। এজি জানান, মেলা প্রাঙ্গণ এবং সাগর আইল্যান্ড দুটি পৃথক জায়গা। মেলা প্রাঙ্গণে দু’কিলোমিটার পর্যন্ত কভার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, তারা তিনটি সংবাদপত্রে মেলা সম্পর্কে সচেতন করেছেন, টেলিগ্রাফ ,বর্তমান , সানমার্গ। তিনটি আলাদা আলাদা ভাষায়। রাজ্য এই অবস্থায় সমস্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। আদালতের নির্দেশ মত কাজ করছে।