মানুষের সুরক্ষার দায়িত্ব কমিশনের আছে? পুরভোট নিয়ে প্রশ্ন আদালতের

মানুষের সুরক্ষার দায়িত্ব কমিশনের আছে? পুরভোট নিয়ে প্রশ্ন আদালতের

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

কলকাতা: রাজ্যের ৪টি পুরনিগমে ভোট আগামী ২২ তারিখই ভোট হবে৷ নির্ঘণ্ট মেনেই ভোট হবে রাজ্যের ৪ পুরনিগমে, এমন জানিয়ে সোমবার হাইকোর্টে হলফনামা দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর এতেই উঠছে প্রশ্ন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকরির পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। দৈনিক আক্রান্ত সংখ্যা আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন, কিন্তু কেন, প্রশ্ন তাঁর।

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের জন্য যে গাইডলাইন দিয়েছিলেন সেটা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য যে গাইডলাইন দিয়েছেন তা অনেকেই মানছেন না। এই মুহূর্তে নির্বাচন না করে ফেব্রুয়ারি মাসে বা মার্চ মাসে করা যায় সেখানে অসুবিধা কোথায়, প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে। গণনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হবে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শেষ। কমিশন নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। করোনা বিধি মেনেই নির্বাচন করতে চায় কমিশন। যার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিশন অবগত আছে? ভোটাররা কী ভাবে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকবেন? যাঁরা ভোটে কাজ করবেন তাঁদের সুরক্ষা বিধি কী ভাবে মানবেন? মানুষের সুরক্ষার দায়িত্ব কমিশনের আছে না নেই? সব প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে একদিন সময় চাওয়া হয়েছে।

তবে জানান হয়েছে, রাজ্যের তরফে এই মুহূর্তে কোনও কঠোর পদক্ষেপ (লকডাউন) নেওয়ার চিন্তাভাবনা নেই, তাই নির্বাচন করার ক্ষেত্রে পিছু হচ্ছে না কমিশন। আদালতের নির্দেশ, রাজ্যের চার পুরসভা নির্বাচনের এলাকা করোনাগ্রাফ কত, কতটা জায়গায় ক্যান্টনমেন্ট জোন রয়েছে তা আদালতের কাছে হলফনামায় জানাতে হবে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন বন্ধ করা যায় কিনা সেটাও আগামী ১৩ জানুয়ারি জানাতে হবে। ওইদিন মামলার পরবর্তী শুনানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *