‘কোভিডকে জয় করেছি, ওমিক্রনও রুখে দেব’, আশ্বাসবাণী মুখ্যমন্ত্রীর

‘কোভিডকে জয় করেছি, ওমিক্রনও রুখে দেব’, আশ্বাসবাণী মুখ্যমন্ত্রীর

fa7dc489d3e75391b66412d1157c76ce

কলকাতা:  লাফিয়ে লাফিয়ে বাংলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ৷ চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন৷ সংক্রমণ রুখতে রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছে করোনা বিধি৷ আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মের বেড়াজালে চলবে জীবন৷ তবে সংক্রমণ রোখা সম্ভব হচ্ছে না কোনও ভাবেই৷ এমতাবস্থায় রাজ্যবাসীকে আস্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- তৃণমূলকে সব ওয়ার্ডে সমর্থন করবে মোর্চা! জানিয়ে দিলেন গিরি

এদিন বাবুঘাটে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোভিডকে জয় করেছি, ওমিক্রনের দাপটও রুখে দেব। সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, মাস্ক পরুন। প্রয়োজনে ডবল মাস্ক পরুন। অযথা ভয় পাবেন না।”  পাশাপাশি যে ভাবে সরকারি অফিসাররা নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করে কুর্নিশও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, বাবুঘাট থেকে শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা৷ বুধবার সেখানে গিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা সম্পর্কে পুণ্যার্থীদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই সঙ্গে সাবধানতা অবলম্বন করতেও বলেন তিনি৷ করোনা বিধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘সাবধানতা অবলম্বন করাই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা সবরকম ব্যবস্থা করেছি। তবে করোনা বা ওমিক্রনের সংক্রমণ কোনওটাই আমাদের হাতে নেই। গোটা বিশ্বে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে৷ এই অবস্থায় করোনাকে রুখতে হলে আরও সতর্ক থাকতে হবে। আরও গুরুত্ব দিতে হবে৷ গুরুত্ব দিয়েই আমরা সবরকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছি।”  

এদিন বারবার তাঁর কথায় উঠে এসেছে প্রথম সারির যোদ্ধাদের কথা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমার অনেক অফিসার আক্রান্ত। বাকিরা কোভিডের বাড়বাড়ন্ত রুখতে যথাসাধ্য কাজ করে চলেছে। আপনারা তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।” করোনা মহামারী রুখতে শুরু থেকেই যথা সময়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। আর সবটাই হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। ওমিক্রন এ রাজ্যে মাথা গলাতেই নতুন বছরের শুরু থেকে কড়া বিধিনিষেধ চালু করেছে। এবার রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তাঁর বার্তা, ‘‘কোভিড জয় করেছি, ওমিক্রনও রুখে দেব।”   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *