তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়ে ফেব্রুয়ারিতে পুরভোট!

তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়ে ফেব্রুয়ারিতে পুরভোট!

ce850752cd9507f6b25e8323ce2881fd

কলকাতা: জটিলতা কেটে গেল। অনেকবার ২২ তারিখের ভোট পিছনোর দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট দিনে ভোট করাতে অনড় ছিল এতদিন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে এবং ভোট পিছনো যায় কিনা সেই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই ভোট করানো নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার শিকার হচ্ছিল নবান্ন। সেই প্রেক্ষিতে অনড়তা থেকে সরে এসে গতকাল তারা ভোট পিছনো নিয়ে সম্মতি জানায়, আজ কমিশনকে চিঠি দেয়। অবশেষে পিছিয়ে গেল ভোট।

আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দননগর পুরসভার। কিন্তু এখন নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে, এই ভোট হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। গণনা হতে পারে ১৫ ফেব্রুয়ারি। তবে এ ব্যাপারে এখনো বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি কমিশন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানায়। আজকের মধ্যেই তা জানাতে হত। তার আগেই গতকাল রাতে জানা গিয়েছিল যে ভোট পিছিয়ে যাচ্ছে। আজ দুপুরেই তাতে শিলমোহর পড়ল। এর আগে  ভোট পিছনো নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছিল। তবে আদালতের বক্তব্য ছিল, নির্বাচন কমিশনের হাতেই ভোট পিছনোর ক্ষমতা আছে৷

আদালতে একটি প্রশ্ন উঠেছিল যে, নির্বাচন পিছনোর ক্ষমতা কার হাতে? রাজ্য সরকার না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের৷ রাজ্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ভোট ঘোষণা হয়ে গেল ভোট পিছোনের ক্ষমতা থাকে একমাত্র কমিশনের হাতে৷ আবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ভোট করানো সম্ভব নয় বলে রাজ্য ঘোষণা করলে একমাত্র সে ক্ষেত্রেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা থাকে৷ আপাতত সেই জটিলতা কেটে গেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *