শৌচাগারের সামনে দাঁড়িয়ে চিতাবাঘ! শোরগোল কোচবিহারে, জারি ১৪৪ ধারা

শৌচাগারের সামনে দাঁড়িয়ে চিতাবাঘ! শোরগোল কোচবিহারে, জারি ১৪৪ ধারা

কোচবিহার: লক্ষ্মীবারের সকালে কোচবিহারে হুলস্থুল৷ শৌচাগারের সামনে বাঘ দেখে ঘুম ছুটল মনোজবাবুর৷ চিতাবাঘের খবর চাউর হচেই শোরগোল পড়ে গেল কোচবিহারের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায়৷ ভিড় জমে যায় জনৈক মনোজ সরকারের বাড়ির সামনে৷ 

আরও পড়ুন- সুন্দরবন ভারতের ‘সাইক্লোন রাজধানী’, বলছে IMD

জানা গিয়েছে, আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে শৌচাগারে যাচ্ছিলেন মনোজবাবু৷ ঘুম চোখে দেখেন শৌচাগারের সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি চিতাবাঘ৷ বাঘ দেখে ঘুম ছোটে তার৷ চেঁচামেচিতে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়৷ খবর পেয়ে পৌঁছয় বন দফতরের কর্মী ও কোতোয়ালি থানার পুলিশ৷ তবে উৎসাহী মানুষের ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে৷ চিতাবাঘ দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে এলাকার মানুষ৷ কেউ কেউ আবার পাঁচিয়ে চড়ে বসে৷ কেউ আবার ঢুকে পড়ে ঘরের ভিতরে৷ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা৷ চেষ্টা চালিয়ে চিতাবাঘটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে বনদফতর৷ তবে এখনও পর্যন্ত বাগে আসেনি বাঘ মামা৷ মনোজবাবুর বাড়ির মধ্যে পাতা হয়েছে জাল৷ 

 

এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের লালগড় থানার কুমিরপাতা, লক্ষণপুর, কন্যাবালি-সহ বিভিন্ন গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে বাঘের পায়ের মতো ছাপ দেখা গিয়েছে। গত শুক্রবার লালগড়ের কন্যাবালি গ্রামে পড়ে থাকতে দেখা যায় একটি ছাগলের মৃতদেহ৷ পাশাপাশি দু’টি বড় জন্তুও খুবলানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ সেই রেশ কাটার আগেই রবিবার কুমিরপাতা জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখা যায় গবাদি পশুর হাড়গোড়৷ যা দেখে হাড়হিম গ্রামবাসীদের৷ খুব প্রয়োজন না পড়লে জঙ্গলের দিকে পা বাড়াচ্ছেন না তাঁরা৷ গ্রামবাসীদের একটাই আর্জি, দ্রুত ব্যবস্থা নিক বনদফতর৷ তবে রয়্যাল বেঙ্গল থাকার আশঙ্কা খারিজ করেছে বন দফতর৷ তাঁরা বলছেন, এটা নেকড়ে বাঘের কাজ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =