কলকাতা: ‘পিকনিক’ বিতর্কে জেরবার বিজেপি৷ দলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের পিকনিকের পর দিলীপ ঘোষের পিকনিক নিয়ে তুঙ্গে তরজা৷ বিরোধীরা মনে করছে এই পিকনিককে কেন্দ্র করেই এক ছাতার নীচে আসছে বিজেপি’র বিক্ষুব্ধরা৷ যদিও সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিলীপ ঘোষ-সুকান্ত মজুমদারদের বক্তব্য, আসলে এই পিকনিকের মধ্যে দিয়ে চিন্তার মন্থন হচ্ছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘শান্তনু পিকনিক করেছে তো কী হয়েছে৷ সবাই পিকনিক করছে৷ আমিও পিকনিক করছি৷ পিকনিকে সবাই একসঙ্গে মিলিত হয়৷ পিকনিক ডিপ্লোম্যাসি৷’’
আরও পড়ুন- সাদা বোর্ডে লেখা ‘মা আই কুইট’! স্মাইলি ও সময় লিখে আত্মঘাতী দ্বাদশের মেধাবী ছাত্র
এর পরেই বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, ‘পিকনিক ডিপ্লোম্যাসি’ তো মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই শুরু হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘দিদিমণি ফিশফ্রাই ডিপ্লোম্যাসি শুরু করেছিলেন৷ বাবুল ওই করে ফেঁসে গিয়েছিল। দুনিয়া পাল্টাচ্ছে। এই প্যাটার্নও পাল্টাচ্ছে। কাম টুগেদার। থিঙ্ক টুগেদার।’’
দিলীপ ঘোষের সুরেই এদিন কথা বলতে শোনা যায় বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে৷ চন্দননগর পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট প্রচারে এসে তিনি বলেন, ‘‘শীতকালে সকলেই পিকনিক করে। আমাকে ডাকলে আমিও যাব।’’ শান্তনু ঠাকুর ও মতুয়া বিধায়কদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান রাজ্য সভাপতি৷
উল্লেখ্য, বুধবার খড়্গপুর গ্রামীণের ওয়ালিপুর বিজেপি উত্তর মণ্ডল কমিটির আয়োজিত পিকনিকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি জলে ছিপ ফেলে মাছও ধরেন। কিন্তু এই পিকনিকের পিছনে অন্য বার্তা দেখছেন বিরোধীরা৷ তাদের মতে, নিজে পিকনিকে অংশগ্রহণ করে পিকনিয়ে ওঠা বিতর্কের আগুনে জল ঢালতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ৷