কলকাতা: স্কুল খোলার দাব তুলে বিকাশ ভবন যাত্রা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পলরা। কিন্তু তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এই নিয়ে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনেই। তাঁদের কনভয় আটকায় পুলিশ। বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতার। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, তারা তো মাওবাদী নন, তাহলে এভাবে আটকানো হবে কেন। পাশাপাশি স্কুল খোলার দাবি তুলে জানতে চান, ২০০ লোক নিয়ে বিয়ে বাড়ি হতে পারে, স্কুল কেন খুলতে পারে না?
আরও পড়ুন- দিঘার হোটেলের ভয়াবহ আগুন, প্রাণ বাঁচাতে কার্নিশ থেকে ঝাঁপ পর্যটকদের!
এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু জানান, দিন রাত মদের দোকান খোলা রয়েছে, ২০০ জন নিয়ে বিয়ে বাড়ি হচ্ছে কিন্তু ৩০ জন নিয়ে ক্লাস শুরু করা হচ্ছে না। মদের দোকান যদি খোলা থাকতে পারে তাহলে স্কুল কেন নয়, প্রশ্ন তাঁর। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর অভিযোগ, পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, রাজ্যে শিক্ষাতন্ত্র দলতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বচসার সময় শুভেন্দু বলেন, বিকাশ ভবনে শুধু স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিলেন তারা। কোভিড বিধি ভঙ্গ করেননি, পতাকা নিয়ে আসেননি, মারপিট করতেও আসেননি, তাহলে তাঁদের এভাবে আটকানো হল কেন। এই ইস্যুতেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি মন্তব্য করেন, মুখ্যমন্ত্রী পদের গরিমা নষ্ট করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর খোঁচা, এই হল রাজ্যের গণতন্ত্র যে বিকাশ ভবন যাওয়ার অধিকার নেই তাঁদের।
উল্লেখ্য আজই আবার কলকাতা হাইকোর্টে স্কুল খোলার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়ের করে আদালতে জানান হয়েছে, স্কুল বন্ধ, তাই বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। অনলাইন পড়াশোনায় মানাতে পারছে না অনেক পড়ুয়াই, তাই এর পরিণতি হচ্ছে স্কুলছুট। অনলাইন পরিকাঠামোর অভাবেই এমন স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি। তাই তাদের সবাইকে ক্লাসে ফেরাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।