কলকাতা: নারদ মামলায় সিটি সেশন কোর্টের ইডির স্পেশাল আদালতে হাজিরা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও এসএমএইচ মির্জা। ইতিপূর্বে নারদ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, এস এম এইচ মির্জা। আজ তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিন কনফার্ম করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত৷ বিকেল চারটেয় হবে রায় ঘোষণা৷
আরও পড়ুন- ‘মমতাই বাড়ির কর্ত্রী, উনিই শেষ কথা’, আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মদনের
২৮ জানুয়ারি এই চাঁর অভিযুক্তকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মতো আজ সকালে তাঁরা আদালতে উপস্থিত হন৷ উল্লেখ্য বিষয় হন, এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আদালত চত্বরে দেখা যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে যে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল, সেই অন্তর্বর্তী জামিন কনফার্ম করতে পিটিশন দাখিল করতে হবে৷ আজ সেই পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁদের আইনজীবীরা। সব কাজ ঠিক মতো হবে বলেই আশাবাদী বৈশাখী৷ তিনি বলেন, “হেয়ারিং শেষ হয়েছে, এখনও জাজমেন্ট বাকি আছে। দেখা যাক কি হয়।”
এদিন আদালত চত্বরে মদন মিত্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও বার্তা দিতে চান কিনা? এর উত্তরে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন পাহাড়ের চূড়ার মত। তিনি মাউন্ট এভারেস্টের মাথায় বসে আছেন। সেখান থেকে বার্তা দিলে তা উপরে চলে যায়। তিনি তাঁকে ধরবেন কি করে?’’ তাঁর কথায়, তিনি অনেক নিচে আছেন৷ তাই সবটাই তাঁর মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। তবে সংগঠনের রাশ নিজের হাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সেই সিদ্ধান্ত দারুণ খুশি মদন মিত্র। আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘মমতাই বাড়ির কর্ত্রী, উনিই শেষ কথা’।