নোয়াপাড়া: নোয়াপাড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা দাপুটে নেতা গোপাল মজুমদারের খুনের ঘটনায় রবিবার সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল ইছাপুর মানিকতলা এলাকায়। সামনে পৌর ভোট তার আগে মানুষকে আতঙ্কিত করতে, ভয় দেখাতে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এই খুনের রাজনীতি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অর্জুন সিং৷ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের ফল৷
এদিকে পৌর ভোটের আগে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে একের পর এক দুষ্কৃতী কাজ কর্মে চিন্তার ভাঁজ পরেছে পুলিশ প্রশাসনের কপালে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন, অবিলম্বে খুনোখুনি বন্ধ হোক৷ পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক৷
প্রসঙ্গত, প্রতিদিনের মত শনিবার রাতেও মানিকতলা পার্টি অফিস থেকে মজুমদার পাড়ায় নিজের বাড়ি ফেরার পথে কয়েক জন দুষ্কৃতী তার ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তার কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেলেও ওপর গুলিটি তার ঘাড়ে লাগে। এরপর দুষ্কৃতীরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কোপ দিতে থাকে।
এই ঘটনায় গোপালবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। সেই সময় তার চিৎকারে স্থানী়রা বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে ইছাপুর ফ্যাক্টরি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে নোয়াপাড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তদন্তের গতি প্রকৃতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।