আলোচনা সম্ভব নয়! শুভেন্দুকে সাক্ষাতের সময় দিল না শিক্ষা দফতর

আলোচনা সম্ভব নয়! শুভেন্দুকে সাক্ষাতের সময় দিল না শিক্ষা দফতর

কলকাতা: সম্প্রতিই স্কুল খোলার দাবি তুলে বিকাশ ভবন যাত্রা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পলরা। কিন্তু তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এই নিয়ে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে। সেদিন তো শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি, তবে আপাতত পারবেন না। কারণ তাঁকে শিক্ষা দফতর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এখন এই বিষয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। কিন্তু কেন, সেও ব্যাপারেও স্পষ্ট করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- দিঘার হোটেলের ভয়াবহ আগুন, প্রাণ বাঁচাতে কার্নিশ থেকে ঝাঁপ পর্যটকদের!

শিক্ষা দফতরের তরফে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জানান হয়েছে, বাংলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। গত ২৭ জানুয়ারি শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈনকে বিরোধী দলনেতার পক্ষ থেকে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়েছিল। শিক্ষা দফতর স্পষ্টভাবে জানতে চায় যে কী বিষয় আলোচনা চাইছেন তারা। পালটা চিঠি দেওয়া-নেওয়া হয় এই ইস্যুতে। পরে যখনই শুভেন্দুর দফতর জানায় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা চাইছেন, তখনই শিক্ষা দফতর জানিয়ে দেয় যে এই বিষয় আলোচনা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, যেদিন বিকাশ ভবনের সামনে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় আটকানো হয়েছিল সেদিনই এই ব্যাপারে রাজ্যকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি।

পুলিশের সঙ্গে বচসার পর সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু স্কুল খোলার দাবি তুলে জানতে চান, ২০০ লোক নিয়ে বিয়ে বাড়ি হতে পারে, স্কুল কেন খুলতে পারে না? তাঁর বক্তব্য ছিল, দিন রাত মদের দোকান খোলা রয়েছে, ২০০ জন নিয়ে বিয়ে বাড়ি হচ্ছে কিন্তু ৩০ জন নিয়ে ক্লাস শুরু করা হচ্ছে না। মদের দোকান যদি খোলা থাকতে পারে তাহলে স্কুল কেন নয়। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর অভিযোগ ছিল, পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। শুভেন্দু আরও অভিযোগ করে বলেছিলেন, রাজ্যে শিক্ষাতন্ত্র দলতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এই ইস্যুতেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি মন্তব্য করেন, মুখ্যমন্ত্রী পদের গরিমা নষ্ট করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =