পাঠ্যসূচিতে নন্দীগ্রাম কি থাকবে? মামলা খারিজ করে যা বলল আদালত

পাঠ্যসূচিতে নন্দীগ্রাম কি থাকবে? মামলা খারিজ করে যা বলল আদালত

কলকাতা: রাজ্যের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বইয়ে সিঙ্গুরের আন্দোলন রয়েছে, কিন্তু নন্দীগ্রাম নেই। এই ইস্যুকেও পাঠ্যসূচীতে ঢোকানো হোক। এমনই আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। কিন্তু আজ সেই মামলা খারিজ করে দিল আদালত। ২০১৭ সালে এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। যা আজ খারিজ হয়ে গেল। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, পাঠ্যসূচিতে নন্দীগ্রাম থাকবে কি থাকবে না, তা ঠিক করবে রাজ্য। এতে আদালতের কিছু করার নেই।

আরও পড়ুন- চিন্তা বাড়াচ্ছে দৈনিক মৃত্যু! সংক্রমণের হার নিয়েও উদ্বেগ দেশে

নন্দীগ্রাম ইস্যুকে ইতিহাসের পাঠ্যসূচীতে ঢোকানো আর্জি জানিয়ে বলা হয়েছিল, সিঙ্গুর আন্দোলন যদি সেখানে থাকতে পারে, তাহলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথাও জানান উচিত। তাই তাকেও ইতিহাসের পাঠ্যসূচীতে দেওয়া উচিত। কিন্তু আদালত এই ব্যাপারে জানায়, ইতিহাসের সিলেবাসে কোন বিষয় পড়ানো হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন। সিঙ্গুর আন্দোলন থাকবে কী থাকবে না বা নন্দীগ্রাম আন্দোলন থাকবে কী থাকবে না, তা রাজ্য সরকার বিচার করে দেখবে। তাই জনস্বার্থ মামলাকারী জ্ঞানেন্দ্রনাথ মান্নাকে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয় নিয়ে আবেদন করার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে অষ্টম শ্রেণির সিলেবাসে সিঙ্গুর আন্দোলন অন্তর্ভূক্ত করে রাজ্য সরকার। সেই সময় দাবি ওঠে নন্দীগ্রামের আন্দোলনও অন্তর্ভুক্ত হোক ইতিহাসের পাঠ্যসূচিতে। তখনই এই বিষয় একটি মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 8 =

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নয়! নন্দীগ্রামকাণ্ডে জানালো হাইকোর্ট

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নয়! নন্দীগ্রামকাণ্ডে জানালো হাইকোর্ট

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

কলকাতা: নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নয়। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আবু তাহের সহ যে ১৪ জন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই মামলায়, তার প্রেক্ষিতে আজ এই রায় দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থা কোনরকম পদক্ষেপ নিতে পারবে না। এই রায়ের ফলে বিধানসভা ভোটের মধ্যে আবু তাহের সহ বাকি অভিযুক্তরা যে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন তা হলফ করে বলা যায়।

ভোটের আগে নন্দীগ্রামের একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গ্রেফতার হতে পারেন, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছিল আগেই। জানা গিয়েছিল, নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন পর্বের একাধিক মামলা গত জুন মাসে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত মামলা ভোটের মুখে এবার পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে হলদিয়া মহকুমা আদালত। আর তাতেই বিপাকে পড়তে চলেছেন একাধিক ঘাসফুল নেতা। সম্প্রতি ছত্রধর মাহাতো গ্রেফতার হওয়ার পর আবু তাহেরদের মতো নেতাদের গ্রেফতারির আশঙ্কা বেড়েছিল। এমনিতেই গত কয়েক দিন ধরে তিনি বাড়িতে থাকছিলেন না। তবে ছত্রধর মাহাতো গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি আর ঝুঁকি না নিয়ে ‘ডেরা’ বদলেছিলেন। এখন অবশ্য হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা স্বস্তি। 

এই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, মারধরের মামলা রয়েছে। পুলিশি চার্জশিটে মোট ১৫০ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছিল। মামলা প্রত্যাহার করা হলে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই নেননি জামিন। গোটা ঘটনায় তৃণমূল অভিযোগের আঙুল তুলেছে এলাকার প্রাক্তন ঘাসফুল তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। অভিযোগ, তিনিই কলকাঠি নেড়ে ভোটের আগে শাসকদলকে বিপাকে ফেলতে চাইছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 12 =