ভাঙড়: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়৷ আক্রান্ত তৃণমূল নেতা৷ দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভাঙড় ২ নাম্বার ব্লক অফিসের ভিতরে খোদ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের সামনে আরেক তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিমকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সদস্যা উম্মুল ওয়ারার স্বামী সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে। রহিমের অভিযোগ, “তাকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। আরাবুল ইসলাম নিজে আমার উপরে চড়াও হয়। সেলিম লাঠি দিয়ে মারধর করেছে। আমার আঙুল ভেঙে গিয়েছে।” আপাতত তিনি জিরানগাছা ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন আরাবুল ইসলাম।
ভাঙড় ২ ব্লকের কার্যকারী সভাপতি আব্দুর রহিমের উপরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শোনপুর বাজারে ৯১ রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন ভাঙড় ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহসীন গাজী, তৃণমূল নেতা মিজানুর আলম, যুব নেতা রশিদ মোল্লা, মোজাফফর আহমেদ, সাবির মাস্টার সহ আরাবুল বিরোধী তৃণমূল নেতারা। পথ অবরোধ থেকে আরাবুল ইসলাম সহ সেলিম মোল্লার গ্রেফতারীর দাবিতে শ্লোগান ওঠে। কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধ তুলে দেয়। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা শোনপুর ব্রিজের নিজে আরাবুল অনুগামী সেলিম মোল্লার দলীয় কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর চালায়। ঘটনার জেরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়৷ এদিকে ভাঙড়ের গোষ্ঠীদ্বন্দের ছবি তোলার সময় একটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় তৃণমূল কর্মীরা। কাশীপুর থানার পুলিশ চেষ্টা করছে ফোন উদ্ধার করার৷