লাহোর: ফের অচৈতন্য অবস্থায় সিংহী নিয়ে অনুষ্ঠানের খবর সামনে এল৷ নিজের জন্মদিনের পার্টিতে সবাইকে চমক দিতে অচেতন অবস্থায় এক সিংহীকে বেঁধে রেখেছিলেন পাকিস্তানের সুসান খান৷ তাঁর ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে৷ এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়৷
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বাসিন্দা সুসান খান চলতি মাসে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে লাহোরের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করেন। সেই পার্টিতে নিমন্ত্রিতদের চমক দিতেই এক সিংহীকে নেশায় আচ্ছন্ন করে চেন দিয়ে সোফার ওপর বেঁধে রাখা হয়। অতিথিদের বিনোদনের জন্যই এই ব্যবস্থা করেছিলেন সুসান খান। সুসান নিজের ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিও শেয়ারও করেন৷ কিন্তু নেট মাধ্যমে তাঁর এই কীর্তি সমালোচনার মুখে পড়তেই ভিডিওটি ইনস্টাগ্রাম থেকে তুলে নেন৷ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অচেতন ওই সিংহীকে চেন দিয়ে বেঁধে একটি সোফার ওপর বসিয়ে রাখা হয়েছে। আর সিংহীটির চারপাশে আগত অতিথিরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তার গায়ে হাত বোলাচ্ছেন৷ জন্মদিনের পার্টিতে এভাবে একটি বন্যপ্রাণীকে বেঁধে রেখে উল্লাস করতে দেখে নেটাগরিকরা তীব্র করেন সুসান খানের।
পশু উদ্ধারকারী একটি সংস্থার মালিক সায়েদ হাসানের হাতে এই ভিডিওটি এসে পৌঁছয় তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে, যিনি ওই সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন৷ তিনি এই ঘটনার ভিডিও ইনস্টাগ্রামে করে তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি জন্মদিনের পার্টির বিরুদ্ধে আমি নই, তবে জন্মদিনের পার্টিতে একটি পশুকে নেশাগ্রস্ত করে এভাবে বেঁধে রেখে বিনোদনের জন্য ব্যবহার করার বিরুদ্ধে৷ সেটা ঘটেছে মিস সুসানের জন্মদিনে। সিংহীটিকে এমন ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যেন সে এক বিনোদনের বস্তু। কিন্তু অবশ্যই তারা বিনোদনের বস্তু নয়। তাদেরও স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।’ তিনি সুসান খানের উদ্দেশে একটি প্রশ্নও করেছেন, ‘আপনাকে এভাবে নেশাগ্রস্ত করে জোর মিউজিক ও মানুষের চিৎকারের মাঝে বেঁধে ফেলে রাখলে কেমন লাগত? মানুষ মনুষ্যত্ব ভুলে গেলেই এমনটা করেন৷ নিজের টাকা ও বড়লোক হওয়ার উদাহরণস্বরূপ পশুদের এভাবে ব্যবহার করা অনুচিত।’