মায়ানমার: গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভের মধ্যেই প্রায় দু’ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়ে কিছুটা নমনীয় অবস্থান দেখাল মায়ানমারের সেনাবাহিনী৷ সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অসংখ্য গণতন্ত্রকামী মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখানোয় উত্তাল মায়ানমার৷ সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে খবর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ২ হাজার ৩০০ জন বন্দিকে মুক্ত করেছে বার্মিজ সেনা। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখানোর অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছিল সেদেশের সেনা। সেনার মুখপাত্র জ মিন তুন বলেন, ‘মোট ২,২৯৬ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ তাঁরা প্রতিবাদে অংশ নিলেও, সামনের সারিতে ছিলেন না৷ তাঁরা আর এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না৷’ মায়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানোর অভিযোগে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও বেশ কয়েকজন তারকাকে গ্রেফতার করেছে বার্মিজ সেনা। কিন্তু ধৃত ২৪ জন বিরুদ্ধে মামলা না করে তাঁদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেনাবাহিনী। দেশজুড়ে যে নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে তারা, সেদিক থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতেই বন্দিদের মুক্তির পদক্ষেপ করেছে সেনাশাসকরা। এমনটাই অভিযোগ মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের৷ সেখানাকার একটি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে অনন্ত ৫ হাজার ২১০ জনকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী৷
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পরই সেদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামীরা লাগাতার পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছেন৷ এবার মায়ানমারের সেনার বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। সেনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করার ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। তারপর রাষ্ট্রসংঘেরও চাপও বাড়ছে সেদেশের সেনাশাসকদের ওপর৷ কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘে মায়ানমারের সামরিক জুন্টার নিন্দায় প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে৷