‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে কমিশন, অশান্তিতে চাই লাগাম

‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে কমিশন, অশান্তিতে চাই লাগাম

35fc9a4bae260df1d24aecd256ef00f2

কলকাতা: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে দায় থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। ভোটের আগেই এই ব্যাপারটা স্পষ্ট করে দিয়েছিল আদালত। তবে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই বলেও আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আজ ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই মূলত বিধাননগর এবং আসানসোল উত্তপ্ত হচ্ছে। সকাল থেকেই দফায় দফায় অভিযোগ জমা পড়ছে কমিশনের কাছে। এই পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে উদ্যোগী নির্বাচন কমিশন। ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন- তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে বুথেই ‘মারপিট’, তীব্র চাঞ্চল্য

যত বেলা বাড়ছে তত অশান্তির খবর আসছে। সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশকে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সব ঘটনায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে তারা। কলকাতা হাইকোর্ট আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না নেওয়া হয় তাহলে যে কোনও গোলমালের দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ওপর বর্তাবে। তাই এখন সব রকম পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে একা নির্বাচন কমিশনকেই। চার কেন্দ্রে ভোট হলেও মূলত আসানসোল এবং বিধাননগর নিয়েই চিন্তার ভাঁজ কমিশনের কপালে। কারণ এই দুই জায়গাতেই বেশি অশান্তির ঘটনা ঘটছে এবং ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ছে। ইতিমধ্যেই আবার আসানসোলে রক্ত ঝরেছে। বিজেপি প্রার্থী জানান, লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়েছে৷ আক্রমণকারীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও তাঁর অভিযোগ৷

আবার বিধাননগরে একাধিক ভুয়ো ভোটার ধরা পড়েছে। সিএফ ব্লকে উত্তেজনা ছড়ায়। ভুয়ো ভোটারকে দেখেই সন্দেহ হয়েছিল৷ প্রশ্ন করা হলে থতমত খেয়ে যায় সে৷ ঠিকঠাক উত্তর দিতে না পারায় হাতে নাতে ধরা পড়ে যায়৷ আর সেটা দেখেই লাইন থেকে একে একে বেরিয়ে যান জনা তিরিশেক লোক! এর পর বুথের বাইরে পাঁচিলের গা ঘেঁষে সরু গলি দিয়ে দৌড়ে পালায় তারা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *