কলকাতা: বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও আসানসোলে সকাল থেকেই চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব৷ কোভিড বিধি মানার পাশাপাশি কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ভোট দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই ভোট যে শান্তিপূর্ণ হচ্ছে তা আদতে বলা যাবে না। সফায় দফায় অশান্তির অভিযোগ আসছে কমিশনের কাছে। উত্তেজনা মূলত আসানসোল এবং বিধাননগরে। বাকি দুই জায়গায় কার্যত নির্বিঘ্নে হচ্ছে ভোট। কিন্তু ভোট শতাংশে সবথেকে এগিয়েও রয়েছে আসানসোল।
আরও পড়ুন- সঙ্গী চাইলে নাম লেখান! ভ্যালেন্টাইনস-ডে পালনের বিজ্ঞপ্তি যাদবপুরে
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চার পুরনিগমে ভোটের হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। দুপুর ১টা পর্যন্ত আসানসোলে ভোট পড়েছে ৪৬.৬ শতাংশ, বিধাননগরে পড়েছে ৪৫.৫ শতাংশ, শিলিগুড়িতে ৪৫ শতাংশ ও চন্দননগরে ৪১.৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। যত বেলা বাড়ছে তত অশান্তির খবর আসছে। সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশকে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সব ঘটনায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে তারা। কলকাতা হাইকোর্ট আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না নেওয়া হয় তাহলে যে কোনও গোলমালের দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ওপর বর্তাবে। তাই এখন সব রকম পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে একা নির্বাচন কমিশনকেই।
চন্দননগর পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৩ টি। আসানসোল পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ১০৬ টি। শিলিগুড়ি পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ৪৭ এবং বিধাননগর পুরসভার মোট ৪১টি ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে ভোট। আসানসোল এবং শিলিগুড়ি ছাড়া বাকি দুই কেন্দ্রে ভাল জায়গাতেই ছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই ফল ধরে রাখার দিকেই তাকিয়ে তারা, পাশাপাশি বাকি দুই কেন্দ্রেও ভাল ফলের আশা শাসক শিবিরের। চার কেন্দ্র মিলিয়ে ভোটের নিরাপত্তায় রয়েছে ন’হাজার রাজ্য পুলিশ। ভোট কেন্দ্রের সুরক্ষায় মোতায়েন সাড়ে আট হাজার রাজ্য পুলিশ।