আসানসোল: এমনও হয়? হ্যাঁ হয়। সমসংখ্যক ভোট পাওয়ায় অবশেষে জয়ী প্রার্থী ঘোষণা করতে ‘টস’ প্রথার সাহায্য নিল নির্বাচন কমিশন। আর সেই টসে জিতে বাজিমাত করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এবং সিপিএম প্রার্থী দু’জনেই সমসংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন। তাই তাদের মধ্যে কে জিতেছে তার ফয়সালা করতে টস করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। আর তাতেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- BREAKING: চার পুরসভা ভোটের ফল ঘোষণার মাঝেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ BJP
আসানসোল পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন আশা প্রসাদ এবং বামেদের প্রার্থী ছিলেন তনুশ্রী রায়। দু’জনেই ২ হাজার ৩৫৮ টি করে ভোট পেয়েছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছিল না যে কে ভোটে জিতেছেন। তাই টস করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তাতেই এই ওয়ার্ডে জিতে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, টস প্রথা আগেও ছিল। আগে একটি ১০ পয়সার কয়েন দিয়ে টস করা হত। কিন্তু এখন সেই রীতির কিছুটা বদল ঘটেছে। এখন আর কয়েন দিয়ে টস হয় না। তাহলে কী ভাবে জয়-পরাজয়ের সিদ্ধান্ত হল এই ওয়ার্ডে?
আসলে, দুটি কাগজে দুই প্রার্থীর নাম লেখা হয়। প্রার্থীদের নাম লেখা ওই কাগজের টুকরো দুটি একটি পাত্রে রাখা হয়। তার পর একজন গণনাকর্মী ওই বাক্স থেকে যে কোনও একটি কাগজ তুলে নেন। কাগজে যে প্রার্থীর নাম লেখা থাকবে, তিনিই জয়ী হবেন। এক্ষেত্রে সেই নাম ছিল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর। তবে যেভাবেই হোক না কেন, পুরভোটে জিতে বেজায় খুশি হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, পুরভোটে বিধাননগরের পর আসানসোলেই সবথেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে বিরোধী পক্ষের থেকে। সেখানে ভোট লুঠ, প্রার্থীর গায়ে হাত দেওয়া, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ভুয়ো ভোটার, সব রকমের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।