কলকাতা: কিছু সপ্তাহ আগেই ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান দেওয়ার জন্য ফোন আসে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কাছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাঁকে তথা তাঁর পরিবারকে জানান হয়েছিল যে, ‘পদ্মশ্রী’ পুরষ্কারের জন্য তাঁকে ভাবা হচ্ছে, যদি তিনি রাজি থাকেন তাহলে তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হবে। ‘গীতশ্রী’ সেই পুরষ্কারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। আর এই ঘটনার পরেই হইচই শুরু হয়ে যায় সব জায়গায়। শিল্পীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে সেই ইস্যু তুলেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দাবি করলেন, তৃণমূল সরকার তাঁকে এই সম্মান নিতে দেয়নি।
আরও পড়ুন- মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ৭ রাজ্যে ১৪ বিয়ে ভুয়ো ডাক্তারের! অবশেষে পুলিশের জালে গুণধর
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে শেষ জীবনের রাজনীতি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি যে পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়েছেন এই কথা তাঁর মুখ থেকে শোনা যায়নি। কোনও অডিও বার্তাও নেই এর সাপেক্ষে। কোনও ভিডিও নেই। তাহলে কী করে বোঝা যাবে যে তিনিই নিজে এই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই সঙ্গে বলেন, একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জানিয়েছিলেন যে তিনি পদ্মশ্রী নিতে চান না। তাই তাঁর স্পষ্ট কথা, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে নিয়েও রাজনীতি করেছে রাজ্যের শাসক দল। নিজেদের স্বার্থে এই কাজ করেছে তারা বলেই মন্তব্য তাঁর। যদিও এই বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতার মেয়রের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার আগেই ‘গীতশ্রী’কে নিয়ে রাজনীতি করেছে, এখন বাংলার বিজেপি নেতারা করছে। আর কোন দিন করছে, যেদিন তিনি মারা গেলেন। এর থেকেই বোঝা যায় যে রাজনৈতিকভাবে তারা কতটা হীন। উল্লেখ্য, ‘পদ্ম সম্মান’ ইস্যুর পর থেকেই বহু ফোন এসেছিল তাঁর কাছে৷ তাঁকে ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে হয়েছিল এবং এর পরেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেছিলেন বলে পরিবারের তরফে জানান হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তিনি আবার কোভিড পজিটিভ হন। তবে তা থেকে সেরে উঠেছিলেন। বিগত কয়েক দিনে তাঁর শরীর ভালোই ছিল। কিন্তু আচমকা তা আবার খারাপ হয়ে যায়। শেষে গতকাল সন্ধ্যায় সকলকে কাঁদিয়ে চলে যান সন্ধ্যা।