কলকাতা: চার পুরভোটে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিরাট জয় লাভ করেছে। কিন্তু বিজেপি সহ বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে। দাবি করা হয়েছে আগামী পুরভোটে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হয়। রাজ্য পুলিশে তাদের ভরসা নেই। ভোটে অশান্তির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকার ও কমিশনকে হলফনামা জমা দিয়ে নিজেদের ভাবনাচিন্তার কথা জানাতে বলেছে। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার তাদের মতামত স্পষ্ট করে দিল নির্বাচন কমিশনের কাছে।
আরও পড়ুন- ক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা! ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন তৃণমূলের
নবান্নের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া চার পুরসভার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছিল। রাজ্য পুলিশ সদর্থক ভূমিকা পালন করেছিল এবং মানুষ নির্বিঘ্নেই ভোট দিতে পেরেছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের কোনও দরকার নেই। রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানো যায়। আসন্ন ১০৮ পুরসভাতে তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার। কমিশনকে এই বিষয় জানান হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্টই। তাই এবার এই বক্তব্য শুনে আদালত রাজ্যের পক্ষে রায় দেয় কিনা তাই দেখার। যদিও বিজেপি নিজেদের দাবিতে অনড়। তারা এও জানিয়েছে যে, চার পুরভোটে মৃত মানুষের নামেও ভোট পড়েছিল! আবার জায়গায় জায়গায় ছাপ্পা তো হয়েছেই। এছাড়াও মারপিট, শারীরিক হেনস্থার মতো ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেছে তারা।
তবে চার পুরসভার ভোটে জেতার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা ছিল, চার কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে এবং মানুষের ভোটে তারা জয় পেয়েছেন, তাই তিনি খুশি। শান্তিপূর্ণ ভাবে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তাতে এই ফল হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর কড়া বার্তা ছিল, মানুষের জন্য আরও নম্রভাবে কাজ করতে হবে কারণ এই জয় মানুষের জয়। একই সঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গে বিধানসভা ভোটে জয় পেয়েও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের জন্য বিজেপি কিছুই কাজ করেনি। শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মানুষ পুরভোটে তারই জবাব দিয়েছেন।