বিধাননগর: চার পুরসভার মধ্যে বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দননগরে সহজ জয় এলেও কিছুটা লড়াই হয়েছে শিলিগুড়িতে৷ সেখানে জেতার পরেই মমতা ঘোষণা করে দেন, শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র হচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। কিন্তু বাকি তিনটি পুরসভায় কারা মেয়র পদে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। এর মধ্যে সব থেকে চর্চায় ছিল বিধাননগর। মেয়র কে হবে, কৃষ্ণা না সব্যসাচী, এই প্রশ্ন ঘুরছিল ইতিউতি। অবশেষে ঘোষণা হয়ে গেল। বিধাননগরের মেয়র হচ্ছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। চেয়ারম্যান করা হল সব্যসাচী দত্তকে। ডেপুটি মেয়র হলেন অনিতা মণ্ডল। আজ তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ১২ ঘণ্টা আগেই মেট্রোর টিকিট বুকিং! কীভাবে সম্ভব
পাশাপাশি আজ আরও ঘোষণা করা হয়েছে, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র হচ্ছেন বিধান উপাধ্যায়। চেয়ারম্যান হচ্ছেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। ডেপুটি মেয়র হচ্ছেন অভিজিৎ ঘটক এবং ওয়াসিমুল হক। আর চন্দননগরের মেয়র হচ্ছেন রাম চক্রবর্তী। ভোটের পর আসানসোল ও চন্দননগর পুরসভায় মেয়র পদের জন্যে একাধিক নাম চর্চায় ছিল। আসানসোল পুরসভার মেয়র হাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন অমর চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়া আলোচনায় ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক, অমিতাভ বসু ও তপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে, চন্দননগর পুরসভায় মেয়র হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তীই।
এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃণমূলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ঘোষিত হলেন। জাতীয় কর্মসমিতি বৈঠকের পর আজ এই ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক ছিল। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে আলাদা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। এর পর বড় ঘোষণা হয়েই গেল দলের পক্ষ থেকে।