পরিকল্পিত খুন! আমতা-কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি পরিবারের

পরিকল্পিত খুন! আমতা-কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি পরিবারের

কলকাতা: আমতায় আইএসএফ ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যু ও তার পর পার্ক সার্কাসে ধুন্ধুমার কাণ্ড৷ এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ আনিসের পরিবারের বিস্ফোরক দাবি, মে মাসে রক্ত শিবির করতে না দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল আনিসকে৷ ভাঙচুর চালানো হয়েছিল তাঁদের বাড়িতে৷ থানায় যেতে না পেরে স্পিড পোস্ট অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা৷ 

আরও পড়ুন- কোনওটি ২ বছর, কোনওটি ৪ বছর পুরনো, মেয়াদ উত্তীর্ণ ফার্স্ট এইড বক্স লোকাল ট্রেনে

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চের সদস্য ছিলেন আনিস৷ তাঁর মৃত্যুর পর জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চের তরফে দাবি, এটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা৷ তাঁরা জানান, গত বছর লকডাউনের সময় উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চের পক্ষ থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছিল৷ সেই সময় আনিস ওঁর এলাকায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন৷ সেই সময় স্থানীয় তৃণমূলের কিছু নেতারা ওই ব্লাডক্যাম্প করতে বাধা দেয়৷ এমনকী আনিসকে বাড়ি ছাড়া করা হয়৷ ২০২১ সালের ২৪ মে আমতা থানার ইনচার্জের কাছে একটি চিঠি বাইপোস্ট পাঠান আনিস৷ সেখানে আনিস স্পষ্ট লিখেছিলেন, আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি৷ যে কোনও দিন আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে বলে আমার আশঙ্কা৷ ফলে এই ঘটনাকে খুন বলেই দাবি করছে আনিসের পরিবার ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অধিকার মঞ্চ৷ আনিসের মৃত্যু ঘিরে যে রহস্য দানা বেঁধেছে তা সমাধানের চেষ্টা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ 

উল্লেখ্য, গভীর রাতে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় ছাত্র নেতা আনিস খান (২৮)কে৷ ঘটনাটি হাওড়ার আমতা থানা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ায়। পরিবারের অভিযোগ,  পুলিশের পোশাকে বাড়িতে গিয়ে আনিসকে তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে খুন করা হয়৷ যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে আমতা থানা৷ তাঁদের দাবি, তারা ওই বাড়িতে কোনও পুলিশ পাঠায়নি। আইএসএফ নেতার অকাল মৃত্যুতে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা৷ এই আন্দোলনে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়াও৷  স্থানীয়রা বলছেন প্রতিবাদী হিসাবে আনিসের পরিচিতি ছিল৷ এনআরসি আন্দোলনের সময় প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি৷ দিল্লি জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদের গ্রেফতারির সময়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিল আনিস৷