দীর্ঘ লড়াইয়ে ইতি, প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী, অপারজিত বিধায়ক সাধন পাণ্ডে

দীর্ঘ লড়াইয়ে ইতি, প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী, অপারজিত বিধায়ক সাধন পাণ্ডে

কলকাতা: অসুখের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে শেষ৷  প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী তথা মানিকতলা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে৷ রবিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি৷ বয়স হয়েছিল ৭১ বছর৷  দুঃসংবাদ পাওয়ার পরেই টুইটে শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- পরিকল্পিত খুন! আমতা-কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি পরিবারের

প্রথম জীবনে সাধন পাণ্ডে ছিলেন কংগ্রেসের সৈনিক৷ পরে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই দেখে উদ্বুদ্ধ হন এবং তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূল প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই তিনি মমতার পাশে থেকেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। দশ বছর আগেই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল তাঁর। গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারপর্ব চলার সময়েও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে৷ তবে কয়েক দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন৷ এরপর নির্বাচনে বিজেপি-র কল্যাণ চৌবেকে ২০,২৩৮ ভোটে পরাজিত করেন। গত ১০ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা সদস্য হয়ে জোড়া দফতরের দায়িত্ব নেন মানিকতলার বিধায়ক৷ 

গত বছর জুলাই মাসে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ১৬ জুলাই রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বেশ কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। এর পর সেপ্টেম্বর মাসে মুম্বইয়ের হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার সকালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন৷ 

সাধন রাণ্ডের কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে জানিয়েছেন, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকেই অবস্থার অবনতি হচ্ছিল৷ রবিবার সকালে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। আজ বিকেলেই কলকাতায় নিয়ে আসা হবে মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের দেহ৷ বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও সুজিত বসু। রবিবার তাঁর দেহ রাখা থাকবে পিস ওয়ার্ল্ডে। সোমবার হবে শেষকৃত্য৷ 

প্রয়াত মন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ছাড়াও রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন সাধন পাণ্ডে৷  তাঁর নেতৃত্বেই ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের কাজের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যজুড়ে। সাফল্যের সঙ্গেই এই কাজ সামলেছিলেন তিনি৷ জনপরিষেবাকে আরও উন্নত করেছিলেন।