কলকাতা: সত্তরের দশকে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল তাঁর৷ উত্তর কলকাতার বড়তলা-মানিকতলা এলাকা ছিল তাঁর শক্তি ঘাঁটি৷ এক সময় এলাকার প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা অজিত পাঁজার অনুগামী হিসাবেই একদা পরিচিত ছিলেন সাধন পাণ্ডে৷ দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রবিবার সকালে প্রয়াত হন মানমিকতলার বিধায়ক৷
আরও পড়ুন- দীর্ঘ লড়াইয়ে ইতি, প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী, অপারজিত বিধায়ক সাধন পাণ্ডে
অজিত পাঁজার ছাত্রছায়াতেই এআইসিসি-তে নিজের যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলেছিলেন সাধন। অল্প সময়ের মধ্যেইই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্রকুমারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কলকাতার কয়েকজন প্রথম সারির নেতার পাশাপাশি ঘনঘন দিল্লিতে যাতায়াত শুরু হয় তাঁর৷ ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বর মাসে লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর-পূর্ব আসন থেকে জিতে প্রথমবারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হন অজিত পাঁজা। এর পরেই বড়তলার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ১৯৮৫ সালের মার্চে অজিত ও রাজেন্দ্রকুমারীর সমর্থনে বড়তলা থেকে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হন সাধন পাণ্ডে৷ সেই থেকে টানা নয় বার বিধানসভার সদস্য হয়েছেন তিনি৷ বিধানসভা ভোটে তিনি ছিলেন অপরাজিত৷ রাজ্যে একমাত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই তাঁর চেয়ে বেশিবার বিধায়ক হয়েছিলেন৷
১৯৮৫-র উপনির্বাচনের পর ১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বড়তলা কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় যান সাধন পাণ্ডে৷ তবে ১৯৮৫ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি ছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক। ২০০১ থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক। ১৯৮৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভা ভোটে কলকাতা উত্তর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হন অজিত পাঁজা৷ ওই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন সাধন৷ কিন্তু সেবার শোচনীয় পরাজয় হয় তাঁর৷ একদা রাজনৈতিক গুরুর সঙ্গে সাধনের মনোমালিন্য পৌঁছেছিল চরমে৷ এরপর ২০০১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি৷ বড়তলা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন৷ সেই সময় দলনেত্রীর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হলেও পরে যাবতীয় সংঘাত ভুলে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সাধন পাণ্ডে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>