আমতায় ছাত্রনেতা খুনের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ SFY-DYFI এর, থানার বাইরে ধুন্ধুমার

আমতায় ছাত্রনেতা খুনের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ SFY-DYFI এর, থানার বাইরে ধুন্ধুমার

কলকাতা: হাওড়া আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু ঘিরে রহস্য৷ দেড় দিন পেরনোর পরেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ৷ আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকেই শুরু হয় এসএফআই-এর বিক্ষোভ৷ এদিন কলাতলা মোড়ে বিক্ষোভ দেখানোর পর শুরু হয় তাঁদের মিছিল৷ এসএফআই-এর সঙ্গে মিছিলে সামিল হয়েছে ডিওয়াইএফআই৷ আমতা থানার সামনে  ধুন্ধুমার কাণ্ড৷ 

আরও পড়ুন- বড়তলা থেকে মানিকতলা, বিধানসভা ভোটে অপরাজিত ছিলেন সাধন পাণ্ডে

এক এসএফআই নেতা বলেন, ‘‘অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে৷ তৃণমূল ও পুলিশের মদতেই আনিসকে খুন করা হয়েছে৷ শুধুমাত্র প্রতিবাদ করার অপরাধে একটা সংখ্যালঘু ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল৷ এনআরসি, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে সে প্রতিবাদ করেছিল৷ তাই রাতের অন্ধকারে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হল৷’’ তাঁদের আরও দাবি, ‘‘শুধু সিবিআই তদন্ত নয়, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে৷’’ কী ভাবে পরিবারের সদস্য ও আইনজীবী ছাড়া আনিসের ময়নাতদন্ত করা হল? এই ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রীয় কেন? কেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা কথাও বললেন না? এই সকল প্রশ্ন তুলেই আমতা থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেয় এসএফআই-ডিএফওয়াই৷ আমতা থানার সামনে পুলিশ ও এসএফআই-এর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন এসএফআই সমর্থকরা৷ ক্রমশ পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে৷ 

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিক্ষোভ করে লাভ নেই, প্রকৃত দোষীকে গ্রেফতার করতে হবে৷ ঠিক কী হয়েছিল, তদন্ত করে তা জানতে হবে৷ হঠাৎ করে আনিস খানের মৃত্যু হল কেন? এর পিছনে কাদের হাত আছে, তা তদন্তে উঠে আসবে৷ এসপি’র সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে৷ দ্রুত তদন্ত করে আসল দোষীকে চিহ্নিত করে  আদালতে তোলার কথা বলেছি৷ যাতে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে৷’’

উল্লেখ্য, গভীর রাতে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় ছাত্র নেতা আনিস খান (২৮)কে৷ ঘটনাটি হাওড়ার আমতা থানা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ায়। পরিবারের অভিযোগ,  পুলিশের পোশাকে বাড়িতে গিয়ে আনিসকে তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে খুন করা হয়৷ যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে আমতা থানা৷ তাঁদের দাবি, তারা ওই বাড়িতে কোনও পুলিশ পাঠায়নি। আইএসএফ নেতার অকাল মৃত্যুতে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা৷ এই আন্দোলনে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়াও৷  স্থানীয়রা বলছেন প্রতিবাদী হিসাবে আনিসের পরিচিতি ছিল৷ এনআরসি আন্দোলনের সময় প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি৷ দিল্লি জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদের গ্রেফতারির সময়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিল আনিস৷