বারুইপুর: ফের বাঘাতঙ্ক৷ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরের লোকালয়ে হাজির দক্ষিণরায়৷ বাঘের হানায় আহত এক৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সন্দেশখালির মণিপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। কিন্তু কী ভাবে ১০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বাঘটি লোকালয়ে ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে সন্দিহান বন দফতরের কর্মীরাও৷
আরও পড়ুন- আমতায় ছাত্রনেতা খুনের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ SFY-DYFI এর, থানার বাইরে ধুন্ধুমার
রবিবার সকালে সন্দেশখালিতে রায়মঙ্গল নদীর পাড়ে হানা দেয় একটি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ৷ ডোরাকাটার দেখা মিলতেই গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ গ্রামের কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে বাঘটির দিকে রে রে করে ছুটে যায়৷ ভয় দেখিয়ে বাঘটিকে জঙ্গলে ফেরাতে চেয়েছিলেন তাঁর। কিন্তু তেমনটা ঘটল না৷ বরং পালটা বাঘের আক্রমণে জখম হন এক গ্রামবাসী। এরপরেই বাঘটি নদী সংলগ্ন একটি ঝোপের মধ্যে গা ঢাকা দেয়। স্থানীয় মানুষজন ঝোপটিকে ঘিরে ফেলেন। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে৷
বনদফতরের কর্মীরা খবর পেয়েই অকুস্থলে পৌঁছন৷ বাঘ ধরতে পাতা হয়েছে খাঁচা৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাঘের হদিশ মেলেনি৷ তবে দক্ষিণ রায়ের যাত্রা পথ চমকে দিয়েছে বন দফতরের কর্মীদের। কারণ, বাঘটি ঝিলার জঙ্গল থেকে নদী সাঁতরে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে সন্দেশখালিতে এসে হাজির হয়েছে৷ অনুমান, সম্ভবত রায়মঙ্গল নদীর জোয়ারে ভেসেই এত দূরে পৌঁছেছে দক্ষিণরায়। তার যাত্রা পথে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। কিন্তু কোনও গ্রামে ঢোকেনি সে। তবে মণিপুর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখে বনদফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সম্ভবত দু-একদিন আগেই বাঘটি ওই গ্রামে ঢুকেছে৷ তবে কী ভাবে তা বনকর্মীদের নজর এড়িয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>