কলকাতা: ছাত্র নেতা আনিস খানের হত্যার ঘটনায় পুলিশি যোগাযোগের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিন জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, পরে আজ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠিত হয়েছে, তারাই এই গ্রেফতারি করেছে তদন্তভার নেওয়ার এক দিনের মধ্যেই। কিন্তু আনিসের পরিবার এখনও রাজ্য পুলিশকে ভরসা করতে পারছে না। তারা এখনও সিবিআই চায়, সেই দাবিতেই অনড়।
আরও পড়ুন- আবার আসিয়াছেন ফিরে! মনে আছে EVM হাতে হলুদ শাড়ি পরে পোলিং বুথে আসা রিনাকে?
আনিসের হত্যার এই ঘটনায় আমতা থানার হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে বার্তা দিয়ে বলেছেন যে, পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে এবং আইন আইনের পথে চলবে। তিনি কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবেন না। অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য জানিয়েছেন, সহযোগীতা পেলে ১৫ দিনের মধ্যেই সব তথ্য সামনে আসবে। কিন্তু আনিসের পরিবার সিটের ওপর ভরসা রাখতে কিছুতেই পারছে না। আনিসের দাদা সাব্বির খান বলছেন, দুই জন পুলিশ গ্রেফতার হয়েছে শুনে ভালো লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রী কাজ করছেন দেখে ভালো লাগছে। কিন্তু সঠিক লোক কি গ্রেফতার হল? অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে না শুধু সন্দেহভাজন? এই প্রশ্ন তাঁর। এদিন কিন্তু সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের ডিজি আনিসের পরিবারের তরফে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন।
মনোজ মালব্য জানিয়েছেন, সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে মৃতের পরিবার সহযোগিতা করছে না। বাধা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে বলে জানান ডিজি। তাঁর নিশানায় রয়েছে রাজনৈতিক দলও। তিনি জানাচ্ছেন, কিছু রাজনৈতিক দল সিটের কাজে বাধা দিচ্ছে। মৃতের পরিবার যাতে পুলিশের সঙ্গে সহযোগীতা করে সেই অনুরোধ করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি সকলকে জানান, আনিস খানের দেহ আবার ময়নাতদন্ত করতে চায় পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আবার ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে আর কোনও তথ্য এদিন দিতে চাননি। বলেছেন, এখনই কোনও তথ্য জানান হবে না যতদিন না পর্যন্ত সেটা ১০০ শতাংশ সঠিক হচ্ছে। তাই মূল তথ্য পেতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে বলেই জানান ডিজি।