কলকাতা: ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুনের প্রতিবাদে নোনাপুকুরে কংগ্রেসের বিক্ষোভ-মিছিল৷ প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা৷ অন্যদিকে আমতায় মিছিল করছে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই৷ আমতা থানা থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূর থেকে শুরু হয় মিছিল৷ শয়ে শয়ে মানুষ অংশ নেয় মিছিলে৷
আরও পড়ুন- ইউক্রেনে আটকে বাংলার পড়ুয়ারা, কন্ট্রোল রুম চালু নবান্নে
আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে প্রতিদিনই থানার সামনে বিক্ষোভ চলছে৷ আজ ৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে শুরু হয় মহামিছিল৷ মিছিলে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছিলাম আমতা থানায় পাঁচদিন অবস্থান করব৷ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে৷ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কেন গ্রেফতার করা হল, সে বিষয়ে নাকি ১৫ দিন পর বলা হবে৷ এভাবে পুলিশ প্রশাসন চলতে পারে না৷ একটি ছেলের জীবন গিয়েছে৷ রাজ্যে ভয়-সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে৷ এর বিরুদ্ধে গোটা রাজ্যের মানুষকে একত্রিত হতে হবে৷ পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে৷’
এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসএফআই সমর্থনকারী ছাত্ররা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে৷ আমতা থানার সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হবে৷ তারপর সেখানে একটি সমাবেশ করা হবে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই এর তরফে৷ উল্লেখ্য, গতকালই মিছিলের কথা জানিয়েছিল এসএফআই-ডিওয়াইএফআই৷
উল্লেখ্য, গভীর রাতে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় ছাত্র নেতা আনিস খান (২৮)কে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের পোশাকে বাড়িতে গিয়ে আনিসকে তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে খুন করা হয়৷ তাঁদের দাবি, তারা ওই বাড়িতে কোনও পুলিশ পাঠায়নি। আইএসএফ নেতার অকাল মৃত্যুতে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা৷ এই আন্দোলনে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়াও৷ আন্দোলন চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল৷ স্থানীয়রা বলছেন প্রতিবাদী হিসাবে আনিসের পরিচিতি ছিল৷ এনআরসি আন্দোলনের সময় প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি৷ দিল্লি জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদের গ্রেফতারির সময়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিল আনিস৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>