কলকাতা: ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুনের প্রতিবাদে ফের পথে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই৷ বাম ছাত্র যুব সংগঠনের এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে তুলকালাম৷ শবিবার দুপুরে রানিহাটি থেকে শুরু হয় মিছিল৷ দীর্ঘ মিছিলের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৬ নং জাতীয় সড়ক৷ এদিকে, মিছিল আটকাতে গার্ডরেল ও প্রচুর পুলিশ বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপারের (এসপি) অফিসে যাওয়ার পথ৷ কিন্তু সেই বাধা সরিয়ে গার্ডরেল ভেঙে এসপি অফিসের দিকে মিছিল এগোতেই শুরু হয় ধুন্ধুমার৷ শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে বড় বড় ইট-পাটকেল,লাঠি, বোতল ছুড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা৷ ইটবৃষ্টির মধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন- এবার চালু দুয়ারে পোস্ট অফিস! বাড়ির কাছে পৌঁছে যাবে ডাকগাড়ি
মিছিল ছত্রভঙ্গ হতেই দেখা যায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে টেনে-হিঁচড়ে এসপি অফিসের মধ্যে নিয়ে যায় পুলিশ৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর৷ আটক করা হয় আরও বেশ কয়েকজনকে৷ এদিকে, ইট ছুড়ে একের পর এক পুলিশের গাড়ি প্রিজন ভ্যানে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা৷ অন্যদিকে, পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন একাধিক এসএফআই-ডিওয়াইএফআই সমর্থক৷ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা৷ ইটের আঘাতে জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় এসপি অফিসের গেট৷ কিন্তু এসপি অফিসের গেট লক্ষ্য করেই ইট ছুড়তে থাকেন আন্দোলনকারীরা৷ এখানেই শেষ নয় এর পর শুরু হয় বোমাবাজি৷ মুহুর্মুহু বোমা পড়তে থাকে৷ বিক্ষোভকারীদের ছাত্রভঙ্গ করতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ৷ ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়৷
পরিস্থিতি সামাল দিয়ে লাঠি উঁচিয়ে রানিহাটি মোড়ের দিকে ছুটে যায় পুলিশ৷ শুরু হয় একের পর এক ধরপাকড়৷ রাস্তায় নেমে পড়েন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ ঘটনাস্থলে রয়েছে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্ত৷ বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল৷ আতঙ্কে গাড়িতে আটকে পড়া যাত্রীরা৷ বাম নেতা বিমান বসু বলেন, ‘আজ কাকভোরে আনিস খানের মরদেহ চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ পুলিশ পুরো ব্যাপারচার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে৷ আসল লোককে না ধরে নকল লোককে ধরা হলে বংলায় তো আগুন জ্বলবেই৷ ’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>