কলকাতা: ভাটপাড়ায় উত্তেজনা চরম সীমায় পৌঁছেছে। সকাল থেকেই সেখানকার বুথে বুথে গন্ডোগোলের খবর সামনে আসছিল। ভোট লুঠ, সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। তৃণমূলকর্মীকে চড় মারার অভিযোগ অর্জুনের বিরুদ্ধে, যা নিয়ে এলাকার ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- উত্তর ব্যারাকপুরে তাণ্ডব! নির্দল প্রার্থীকে বেধড়ক মার, চড়-ঘুষি-লাথি
এদিন অর্জুন সিং-কে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয় ভাটপাড়ায়। পরিস্থিতি ভীষণ উত্তপ্ত হয়ে যায় নিমেষের মধ্যেই। তার মধ্যেই এক তৃণমূল কর্মীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেও অর্জুনের উদ্ধত হওয়া চেহারা ধরা পড়ে। বোঝাই যায় তিনি কাউকে মারতে উদ্যত হয়েছেন। আজ সকাল থেকেই ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধী বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের ৪৩ নম্বর বুথে ইভিএম ভাঙচুর করা হয়েছিল৷ তৃণমূলের অভিযোগ এই বুথে বিজেপি প্রার্থীর স্বামী এই ভাঙচুর চালিয়েছে৷ পরে অভিযোগ ওঠে, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীই আক্রান্ত হয়েছেন৷ আক্রান্ত হয়েছেন ১১ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীও৷ বিজেপি সাংসদ অজুন সিং বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের কোর ভোটার মুসলিমদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এখনও পর্যন্ত আমার ১৬-১৭ জন লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ পোলিং এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করা হচ্ছে৷ সমস্ত ভাটপাড়ায় চাপা সন্ত্রাস চলছে৷
আবার তিনি ভোট পারেননি বলেও আক্ষেপ করেছেন। আসলে ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির কোনও প্রার্থী নেই।, যেখানে তিনি ভোট দেন! কিন্তু কেন? আসলে এই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী করেছিল সৌরভ সিংকে। যিনি সম্পর্কে অর্জুন সিংয়ের ভাইপো। কিন্তু নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডে আর ভোট দিলেন না অর্জুন। তাঁর কথায়, কিছু ‘গদ্দার’র জন্য আজ তিনি ভোট দিতে পারেননি। জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে পারেননি।