কলকাতা: রবিবার ১০৮ পুরসভার ভোট হয়েছে। কিন্তু এই ভোটে ব্যাপক হিংসা হয়েছে এবং তা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, এই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তার প্রেক্ষিতেই কাঁথি পুরসভার ভোটের গণনা স্থগিত করার জন্য আদালত আবেদন করেছিল তারা। মামলার আবেদনকারী ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে এই ইস্যুতে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। ভোটের গণনা স্থগিত বা বাতিলের দাবি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন- শখে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনাই কাল, দুর্ঘটনার কবলে ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত ভুবন বাদ্যকর
এদিন কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার শুনানিতে জানিয়েছে, কাঁথি পুরভোটের গণনা বন্ধ করা যাবে না। তবে কাঁথি পুরসভার ফল নির্ভর করবে, মামলার ভবিষ্যতের ওপর। তার অর্থ, কাল তথা বুধবারই হবে কাঁথি পুরসভার ভোট গণনা। এছাড়া এই মামলায় আদালত নির্দেশ দিয়েছে ভোটের দিনের ফুটেজ সংরক্ষণ করার এবং মামলায় কেন্দ্রীয় কমিশনকে যুক্ত করার। গেরুয়া শিবিরের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, ব্যাপক ছাপ্পা ভোট হয়েছে কাঁথিতে। এমনকি ৯০ শতাংশ সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তাও ভোট গণনার আবেদন গৃহীত হল না কলকাতা হাইকোর্টে। তবে, নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে বিজেপির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে হলফনামা চেয়েছে আদালত। আগামী ১১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
এদিকে আজ রাজ্যের দুটি বুথে চলছে ভোট গ্রহণ। দক্ষিণ দমদম ও শ্রীরামপুরের দুটি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বুথ চত্বর। রিপোর্ট বলছে রাজ্যের প্রায় ২৪টি জায়গায় ইভিএম ভাঙা হয়েছে৷ তারপরেও কেন মাত্র ২টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ তবে জেলা শাসকদের পাঠানো প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, ইভিএম ভাঙলেও তথ্য বিলোপ হয়নি৷ প্রসঙ্গত, রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোট হয়৷ দিনভর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসে হিংসার খবর৷ দেদার ছাপ্পা ভোট, অভিএম ভাঙচুর, অস্ত্র হাতে দাপাদাপি সবটাই দেখেছে গোটা বংলা৷ প্রায় সব জেলা থেকেই কম বেশি সন্ত্রাসের ছবি উঠে আসে৷ শাসক দলের বিরোধিতা করে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাকও দেয় বিজেপি৷