কলকাতা: বারাণসী থেকে ভোট প্রচার সেরে কলকাতায় ফেরার সময় অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান৷ সেদিন ঠিক কী হয়েছিল? প্রকাশ্যে এল মাঝ আকাশে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান ‘বিভ্রাট’ এর নেপথ্য কারণ৷ এয়ার টার্বুল্যান্স নয়, জানা গেল মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের সামনে চলে এসেছিল অন্য একটি বিমান। পাইলটের দক্ষতায় সংঘর্ষ এড়ায় তাঁর বিমান। প্রায় আট হাজার ফিট নিচে বিমান নামিয়ে আনেন পাইলট৷ বিধানসভায় একথা জানালেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- মাধ্যমিক: কেন বন্ধ ইন্টারনেট? কড়া প্রতিক্রিয়া দিলীপের!
উত্তরপ্রদেশ থেকে ফেরার পথে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত৷ শুধুমাত্র পাইলটের দক্ষতায় শেষ মুহূর্তে বেঁচে যান মমতা৷ তবে কোমরে আঘাত লেগেছে তাঁর৷ এখনও ব্যথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন। মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের সামনে কোনও চপার চলে এসেছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, আবহাওয়া সংক্রান্ত কারণেই এই টারব্যুলেন্স৷
কিন্তু তৃণমূল ইউনিয়নের প্রশ্ন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাজকর্মে কোনও গাফিলতি ছিল কি? কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বিমানের যে রুট দিয়ে আসার কথা, তা আগে থেকেই জানত এটিসি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল, রুট ক্লিয়ার রাখা এবং সেই রুটের আপডেট দেওয়া। আগামী দিনে যাতে মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথ নিয়ে তারা আরও বেশি সচেতন থাকে, সে বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে৷
এদিন বিধানসভায় বিমান বিভ্রাট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাঁর বিমানের রুটে আরও একটি বিমান ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু পাইলটের দক্ষতায় তিনি রক্ষা পেয়েছেন৷ সঙ্গে সঙ্গে আট হাজার ফুট নীচে বিমান নামিয়ে আনেন পাইলট৷ প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের ভাড়া করা যে ফ্যালকন বিমানে মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করেন সেদিন সেই বিমানে সওয়ার ছিলেন না তিনি৷ এই বিমানে তিনি আগে কখনও সফর করেননি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>