জয়প্রকাশ ইস্যুতে চাঁচাছোলা আক্রমণ তথার, ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ মনে করেন বাবুল

জয়প্রকাশ ইস্যুতে চাঁচাছোলা আক্রমণ তথার, ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ মনে করেন বাবুল

কলকাতা: অনেককেই অবাক করে আজ তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিয়েছেন আজ। এই দল বদল নিয়ে এখন জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। প্রতিক্রিয়া দিয়ে জয়প্রকাশকে কার্যত একহাত নিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত ঘোষ এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ চলছে। এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তথাগত রায় এবং বাবুল সুপ্রিয়।

আরও পড়ুন- তাহেরপুর বামেদের দখলে যেতেই রাতিরাতি বদল ওসি! তবে কি শাস্তি?

জয়প্রকাশের তৃণমূলে যোগদানের পরেই টুইট করে তথাগত লেখেন, ”জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এই দৈন্যদশার মধ্যেও একটা কীটাণু খসে যাওয়ায় একটু শক্তি বাড়ল। কিন্তু কি এক পদার্থ জোগাড় করে তাকে সহ-সভাপতি বানিয়েছিল KDSA গ্যাং! ওর ছেলে প্রশান্ত কিশোরের কাছে চাকরি করত। আর বাপ সহ-সভাপতি থেকে খবর সাপ্লাই করত।” তিনি আরও বলেন, ”KDSA গ্যাং-এর অবশ্য এসব নিয়ে ভাববার সময় ছিল না। তারা কামিনী-কাঞ্চন নিয়েই মশগুল। শোনা যায় জয়প্রকাশ নাকি লাথি খাবার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ করেছিল। শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, তারপর এই! যাই হোক, বিদায় তো হয়েছে! আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!” তিনি টুইটে সরাসরি বাবুলের নাম নিয়েছেন তাই এটাই প্রত্যাশিত ছিল যে বাবুলও প্রতিক্রিয়া দেবেন। তিনি দিয়েছেনও।

বাবুল লিখেছেন, ”জয়প্রকাশদা এতদিনে এটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন। ওনাকে আমার অভিনন্দন। আমি বহুদিন আগেই বিতৃষ্ণার সঙ্গে এই অযোগ্য মানুষগুলির বিরুধ্যে খোলাখুলি প্রতিবাদ করেছিলাম ও সততার সঙ্গে আয়না দেখিয়েছিলাম। কিন্তু বিজেপিতে ন্যায্য মতামতগুলিকে সন্মান না জানিয়ে, প্রকৃত শুভানুধায়ীদের সঙ্গেই চূড়ান্ত অপমানজনক ব্যবহার ও চরম বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়। কয়েকজনের তো লজ্জায় বাংলায় ঢোকারই সাহস নেই। যাইহোক, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাবো জয়প্রকাশদাকে সম্মানের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত জানানোর জন্য।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 4 =