কলকাতা: সোমবারের পর আজও বিধানসভা ব্যাপক উত্তপ্ত হয়েছে। আগের দিন রাজ্যপালের ভাষণের সময় বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছিল, আজ মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময় বিরাট বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি বিধায়করা। তবুও ভাষণ থামাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তিনি একযোগে বিজেপিকে আক্রমণ করে গিয়েছেন। এই গোটা ইস্যুতে পড়ে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এই সরকারের আচরণ হিটলার-মুসোলিনির মতো।
আরও পড়ুন- পার্টি এখন গাড্ডায় পড়েছে, অকপট স্বীকারোক্তি দিলীপ ঘোষের
শুভেন্দুর বক্তব্য, বর্তমান তৃণমূল সরকার বিধানসভা, রাজ্যের মানুষ সকলকে অবজ্ঞা করে। তাদের আচরণ হিটলার-মুসোলিনির মতো। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্মৃতিচারণের সুযোগ দেওয়া হয়নি বিরোধী বিধায়কদের। তৃণমূলের একটাই পোস্ট, মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট, তিনি নজরুল মঞ্চে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করবেন তাই দু’মিনিটে বিধানসভা শেষ হয়েছে এখানে। এমনই কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, বিধায়কদের মানুষ পাঠিয়েছে তাদের কথা তুলে ধরার জন্য। কিছু শাসক দল বিধানসভা তো বটেই, সাধারণ মানুষকেই অবজ্ঞা করছেন। আসলে বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তারা। এদিকে দুই বিজেপি বিধায়ককে যে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই ইস্যুতে শুভেন্দু জানান, কারণ ছাড়াই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর মনে ভয় ভীতি কাজ করছে। আসলে চলতি বিধানসভা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামীকে৷ রাজ্যপালের ভাষণে বাধা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও বিধানসভার কাজ বিঘ্নিত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
তবে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেছেন, মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। নিজের ওয়ার্ডেও জিততে পারে না বিজেপি। তিনি আরও বলেন, বিজেপির এই আচরণ লজ্জাজনক, দুঃখজনক। যদিও বিজেপির বিক্ষোভের মধ্যে নিজের ভাষণ চালিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ইস্যুতে আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, এইভাবে বিজেপি উন্নয়ন আটকাতে পারবে না। যা উন্নয়ন করার তাই করা হবে।