মাথা লক্ষ্য করে গুলি, মৃত্যু সদ্য জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের, পুলিশের জালে অপরাধী

মাথা লক্ষ্য করে গুলি, মৃত্যু সদ্য জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের, পুলিশের জালে অপরাধী

খড়দহ: ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে গুলি৷ মথা লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হল পানিহাটির আট নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থীকে৷ তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে উদ্ধার করে প্রথমে সাগরদত্ত মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ সেখানেই মৃত্যু হয় অনুপমের৷ এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷

আরও পড়ুন- বালিগঞ্জ পেয়ে নেত্রীকে ধন্যবাদ বাবুলের, আসানসোলে লড়বেন ‘বিহারিবাবু’

জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় নিজের এলাকায় একটি পার্কের কাজের দেখভাল করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর৷ সেই সময় বাইক নিয়ে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় চার দুষ্কৃতী৷ এর পর তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের৷ এর পরেই বাইক নিয়ে চম্পট দেয় তারা৷ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অনুপম৷ স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি৷ এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বিটি রোড অবরোধ করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার৷ দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক সংঘাত রয়েছে কিনা, সে বিষয়েই প্রশ্ন রয়েছে৷ বিধায়ক নির্মল ঘোষের কথায়,  “তরতাজা যুবক সদ্য ভোটে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। তাঁকে খুন করার পিছনে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে।’’

ইতিমধ্যে অনুপম দত্ত খুনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তাকে জেরা করছে পুলিশ ব্যারাকপুরের কমিশনারেট৷ জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম শম্ভুনাথ পণ্ডিত৷ সে একজন সুপারি কিলার৷ তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করার পর তেঁতুলতলা এলাকার হোগলাবনে লুকিয়ে ছিল সে৷ সুযোগ বুঝে এলাকা ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল শম্ভুনাথের৷ কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে৷