ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ৩০৩ জনের হলফনামা পেশ প্রিয়াঙ্কার, কমিটি গঠন হাই কোর্টের

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ৩০৩ জনের হলফনামা পেশ প্রিয়াঙ্কার, কমিটি গঠন হাই কোর্টের

4bb40f1ffbe2a946a4018a45d1847cf1

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার সোমবার আদালতে ৩০৩ জনের হলফনামা জমা দিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল৷ তাঁর অভিযোগ, ৩০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে৷ অথচ পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না৷ বেশিরভাগ থানার ভূমিকাই ঠুঠো জগন্নাথের মতো৷ ঘর ছাড়া মানুষদেরও ঘরে ফেরার অধিকার আছে৷ 

আরও পড়ুন- বাংলা নামে লন্ডনের স্টেশন! গর্ব অনুভব করছেন মমতা

এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আবেদনকারীর দাবি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন৷ কিন্তু বিজেপি পক্ষের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের অভিযোগ,  রাজ্য সরকারের তরফে বারবার বলা হয়েছে, কেউ ঘরছাড়া নেই৷ কেউ কেউ বাইরে কাজের সূত্রে গিয়েছেন। যাঁদের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেগুলি নাকি ভুয়ো। আসলে এসব বলে পুলিশ এড়িয়ে যেতে চাইছে৷ প্রিয়াঙ্কা আরও জানান, বর্ধমান, বীরভূম সহ সব জেলাতেই এই অবস্থা।

এদিকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, সিবিআই এর পক্ষ থেকে তদন্তের চতুর্থ রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে৷ এর পরেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের কাছে জানতে চান, সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি কতখানি? অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল জানান, তদন্ত এখনও চলছে৷ অন্যদিকে, বিজেপি পক্ষের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল তথ্য দিয়ে জানান, ৩০৩ জনের মধ্যে ৯১ জনের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷ ১৬৪ জন ঘরছাড়া।

এর পরেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সঠিক তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয় ধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, শুধু অভিযোগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চত করাই নয়,  তাঁদের সাংসারিক জীবন যাতে শান্তিতে কাটে সেই বিষয়টাও নিশ্চিত করতে হবে ডিজি এবং আইজিকে৷ বেঞ্চ জানায়, এখনও পর্যন্ত যে ৩০৩ জন হলফনামা দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ডিজিপি এবং আইজি- কে তাঁদের নিরাপত্তার পাশাপাশি তাঁর যাতে শান্তিপুর্ন ভাবে বসবাস করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই ৩০৩ জনের হলফনামার কপি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ডিজিপি এবং আইজি- কে দেবেন৷ 

বিচারপতি জানান, এই মামলায় দুই সদস্যের কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিতে থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ১ জন করে সদস্য। এই কমিটির কাছে আবেদনকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেবেন। কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯শে এপ্রিল৷