কলকাতা: পানিহাটির আট নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও কিছু করা যায়নি। মৃত্যু হয় তাঁর। এবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইলেন তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। তিনি দাবি করছেন, তাঁর স্বামীর অনেক শত্রু ছিল। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তা আশা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- বালিগঞ্জ পেয়ে নেত্রীকে ধন্যবাদ বাবুলের, আসানসোলে লড়বেন ‘বিহারিবাবু’
রবিবার সন্ধ্যায় নিজের এলাকায় একটি পার্কের কাজের দেখভাল করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর৷ সেই সময় বাইক নিয়ে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় চার দুষ্কৃতী৷ এর পর তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের৷ এর পরেই বাইক নিয়ে চম্পট দেয় তারা৷ অনুপমের স্ত্রী জানাচ্ছেন, তাঁর স্বামীর অনেক শত্রু ছিল। কে, কোথায়, কীভাবে সব পরিকল্পনা করেছে তা জানা কঠিন। কিন্তু যেভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে সেটা পরিকল্পনা না থাকলে হয় না বলেই মত মীনাক্ষীর। পুলিশের হাতে অপরাধী ধরা পড়েছে ঠিকই, কিন্তু তিনি সিবিআই তদন্তই চাইছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, দলীয় কোনও কোন্দল ছিল না, কিন্তু এর আগেও তাঁর স্বামীকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল।
ইতিমধ্যে অনুপম দত্ত খুনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তাকে জেরা করছে পুলিশ ব্যারাকপুরের কমিশনারেট৷ জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম শম্ভুনাথ পণ্ডিত৷ সে একজন সুপারি কিলার৷ তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করার পর তেঁতুলতলা এলাকার হোগলাবনে লুকিয়ে ছিল সে৷ সুযোগ বুঝে এলাকা ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল শম্ভুনাথের৷ ইতিমধ্যেই দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক সংঘাত রয়েছে কিনা, সে বিষয়েই প্রশ্ন রয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″ height=”315″ frameborder=”0″>