দুই জনপ্রতিনিধি খুন, সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলার আবেদন

দুই জনপ্রতিনিধি খুন, সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলার আবেদন

কলকাতা: ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর এবং পানিহাটি পূরসভা নবনির্বাচিত কাউন্সিলর খুন হয়েছেন একই দিনে। এই দুই ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল গোটা রাজ্য। এবার দুই জনপ্রতিনিধি খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলার আবেদন জানান হল কলকাতা হাইকোর্টে। জানা গিয়েছে, এই আবেদন মঞ্জুর করছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে আবেদন জানান আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের না করলেও মামলাকারীর আবেদনে সাড়া দিয়ে জানিয়েছে, তারা মামলা দায়ের করতে পারেন এবং দ্রুত সেই মামলার শুনানি হবে।

আরও পড়ুন- বালিগঞ্জ পেয়ে নেত্রীকে ধন্যবাদ বাবুলের, আসানসোলে লড়বেন ‘বিহারিবাবু’

পানিহাটির আট নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। অন্যদিকে, ঝালদায় গুলিতেই নিহত হয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তাঁকেও খুব কাছ থেকেই গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়েছে বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব চেয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। বিধানসভায় বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখানো হয়েছে। আবার কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভায় বক্তব্য রেখে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। তিনি আনিস খান হত্যাকাণ্ডেও সিবিআই চাইছেন।

তবে গতকাল অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী সিবিআই তদন্তের কথা বললেও আজ তিনি সিআইডি তদন্তের কথাই বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, সিআইডি তদন্ত দিয়েই এই খুনের কিনারা হোক। রাজনীতিতে পদে পদে শত্রু থাকে। তাই কারা, কেন এটা করল তা তিনি জানতে চান। প্রসঙ্গত, গতকাল মীনাক্ষী বলেছিলেন, তাঁর স্বামীর অনেক শত্রু ছিল। কে, কোথায়, কীভাবে সব পরিকল্পনা করেছে তা জানা কঠিন। কিন্তু যেভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে সেটা পরিকল্পনা না থাকলে হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *