কলকাতা: রাজ্য সরকার বিজেপির বিক্ষুব্ধ চার বিধায়কের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। এই চার বিধায়ক আজ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন তাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে। সেই প্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে বিধানসভার অধ্যক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে খবর। তবে কারা এই চার বিধায়ক?
আরও পড়ুন- রাজ্যেই মিলবে পড়ার সুযোগ, ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের বড় আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, যে চার জন বিধায়কের নিরাপত্তা বাড়ছে তারা হলেন, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। আজ তাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির আবেদনের চিঠি পাওয়ার পর বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা সহ অধিবেশন চলাকালীন আলাদা ঘরে বসার ব্যবস্থা করেন বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গতকাল এই চার বিধায়ককে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে হুমকি দিয়েছিলেন বলে কৃষ্ণ কল্যাণী অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ আজ বলেন, বিরোধী দলের নেতা সতীর্থদের এমন হুমকি দিচ্ছেন রাজ্য বিধানসভার ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
কী হয়েছিল? গতকাল বিধানসভায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী তাঁকে জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী আয়করের নোটিস দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গেই মমতার খোঁচা, তাহলে বুঝতে হবে কে আয়কর দফতর চালায়। সিবিআই কাদের হাতে রয়েছে। তার আগে বিজেপি বিধায়করা যখন তাঁর বক্তৃতার মাঝে চলে যাচ্ছিলেন তখন মমতা তাদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, ”ওরা পালিয়ে গেল।” তাঁর কথায়, তিনি যদি গরু পাচার, বালি খাদান, পরিবহন সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির কথা বলে দেন, তাই বিজেপি বিধায়করা পালিয়ে গিয়েছে।