বন্দুকধারী তালিবানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা, অধিকার দাবি চার সাহসিনীর

বন্দুকধারী তালিবানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা, অধিকার দাবি চার সাহসিনীর

b9237284d325dd6a6e91ee54365ab7cd

কাবুল: আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যেতেই সেখান থেকে বহু মানুষ ইতিমধ্যেই পালিয়ে গিয়েছেন ভয়। তালিবান যতই বদলে যাওয়ার কথা বলুক এবং নারী সুরক্ষার কথা বলুক, ২০ বছর আগের স্মৃতি যাদের তাজা রয়েছে তারা কেউই তাদের বিশ্বাস করতে চায় না। তালিবান দেশ দখল করে নেওয়ার পর ইতিমধ্যে একাধিক বিধি-নিষেধ জারি করেছে এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে আর বিধি-নিষেধ জারি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তালিবানি শাসন এর মহিলাদের কী অবস্থা হতে পারে তার আন্দাজ প্রত্যেকের আছে। সেই কারণেই এখন যেন ভয়ডর ভুলে গিয়ে তীব্র প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে আফগানি মহিলারা। সেই ছবি ধরা পড়ল কাবুলের রাস্তায়। তালিবানি জঙ্গি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাতে পোস্টার নিয়ে নিজেদের অধিকার চাইছে সাহসিনীরা। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না তারা! স্পষ্ট করল তালিবান

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সুরক্ষা, কাজ এবং শিক্ষার অধিকার আছে প্রতিবাদ জানাচ্ছে ৪ আফগান মহিলা। তাদের সামনে রয়েছে বন্দুকধারী তালিবান জঙ্গি। যার রক্তচক্ষুকে ভয় পাচ্ছে না তারা। নারী সুরক্ষার অধিকার আছে রীতিমতো গর্জে উঠেছে ওই চারজন। এই ভিডিও সত্যিই বিশ্বের সব মহিলাকে শক্তি দেবে। মহিলারা যে পোস্টার হাতে ধরে রয়েছে সেখানে স্পষ্ট লেখা নারী সুরক্ষা এবং শিক্ষার কথা। ভিডিওতে এক মহিলাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, এত বছর ধরে তারা যে অধিকার ভোগ করেছে এবং যে সুবিধা পেয়েছে তা তারা কখনোই ছেড়ে দিতে রাজি নয়। তালিবান প্রথম থেকেই শিক্ষিত এবং কর্মরত মহিলাদের ঘৃণা করে এসেছে। এখনো পর্যন্ত মহিলাদের প্রতি তাদের মনোভাব কার্যত স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে তারা যার মধ্যে রয়েছে যে মহিলারা ক্যামেরার সামনে আসতে পারবেন না, এমনকি বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে পারবেন না। যদিও দেখা গিয়েছে যে আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর এক টিভি চ্যানেলে তালিবানের মুখপাত্র ইন্টারভিউ দিচ্ছে একজন মহিলা প্রতিস্থাপকের কাছে! যে ছবিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল।

যদিও প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করে তালিবান মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়েছে, মহিলাদের কাজ করার অধিকার দেওয়া হবে। তবে সবই হবে শরিয়ত আইন মেনে। আইনের বাইরে গিয়ে কিছুই হবে না। এদিকে আবার তালিবান জানিয়েছে, আফগান মেয়েদের বোরখা পরা জরুরি নয়। তারা না চাইলে কেউ তাদের বাধ্য করবে না। তবে হিজাব পরতে হবে, তবে সেটি কোন ধরণের হিজাব তা স্পষ্ট করা হয়নি। একই সঙ্গে বলা হয়েছে যে, ২০ বছর আগে দুনিয়া যেমন ছিল, আজ আর তেমন নেই, অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেই প্রেক্ষিতেই মহিলাদের শিক্ষা নিয়েও ভাবছে তালিবান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *