কলকাতা: তৃণমূল উপপ্রধানের খুনের ঘটনায় উত্তাল বীরভূম। নেতা খুন হওয়ার পরেই অনুগামীদের তাণ্ডবে পর পর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। ইতিমধ্যেই ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে ৭ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। একই সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে এমন দিন ঘনিয়ে আসছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘শুনলাম শর্ট সার্কিট থেকে টিভি ফেটে আগুন লেগেছে’, রামপুরহাটের ঘটনায় মন্তব্য অনুব্রতর
সুকান্তর বক্তব্য, অরাজকতার শাসন চলছে গোটা রাজ্যজুড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি পুলিশমন্ত্রীও। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ তিনি নিচ্ছেন না। বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে খুব শীগগির। এই মন্তব্য করেই তিনি খোঁচা দেন, তৃণমূল কথায় কথায় গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ দেখায়, এখন নিজের রাজ্য কী হচ্ছে তাই দেখুক। সুকান্তর মতোই রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইট করে লিখেছেন, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা একদম ভেঙে পড়েছে। সন্ত্রাস ঘিরে আসছে রামপুরহাট এলাকা জুড়ে। এই মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাঁর দফতর ও রাজ্যপালকে ট্যাগ করেছেন তিনি।
রামপুরহাটের ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তদন্তকারী দলে রয়েছেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং, এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিং এবং জিআইজি সিআইডি (অপারেশন) মিরাজ খালিদ। গোটা বিষয়ের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ব্যাখ্যা দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। জানান, গতকাল খুনের ঘটনার পরেই নেতার গ্রামে ৭-৮ টি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। রাতের মধ্যেই সেখানে পুলিশ, দমকল সব পৌঁছে গিয়েছিল। আজ সকালের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর একটি বাড়িতে ঢুকে ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি, সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
