কলকাতা: রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে উত্তাপের পারদ ক্রমশ বাড়ছে। সব মিলিয়ে মোট ৫ টি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। রামপুরহাটের ঘটনাকে ‘শকিং’ বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। সেই সব মামলার শুনানিতে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেল বগটুই গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি অভিযুক্তদের যাতে দ্রুত পাকড়াও করা হয় তার জন্য কড়া নির্দেশ চাওয়া হল আদালতের থেকে।
আরও পড়ুন- গত দু’দশকে বাংলায় গণহত্যার বলি ৯১ জন, রামপুরহাট উস্কে দিল সেই ‘অন্ধকার’ স্মৃতি
এদিন শুনানিতে আইনজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, ঘটনা সমস্ত প্রমাণ প্রকাশ্যে আছে। যেটা সংরক্ষিত থাকা দরকার। অভিযুক্তরা গ্রামেই আছেন। অন্যদিকে, আইনজীবী ফিরোজ এডুলজী জানান, সিটের সদস্য নিয়ে তাঁর আপত্তি আছে। কারণ, রিওয়ানুর মামলার ষড়যন্ত্রে জ্ঞানবন্ত সিং ছিলেন, সঞ্জয় সিং কে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল। এদিকে বিজেপির আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তেওয়ারি বলেন, ডিজি ঘটনাস্থলে না গিয়ে পুরো পর্যবেক্ষণ না করে বিবৃতি দিয়েছেন। পুলিশের কাছ থেকে অবিলম্বে রিপোর্ট চাক আদালত। ছোট আংগারিয়াতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেখানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এখানেই তাই দেওয়া হোক। সিপিআইএম আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় আবার বলেন, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ যা বলেছেন তা বিভ্রান্তিকর।
সব মিলিয়ে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। শকিং। তদন্ত চলছে। এলাকা তদন্তের জন্য ঘিরে রাখা আছে। ফরেনসিক টিম এলাকায় গেছে। তারা পরীক্ষা করছে। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আদালতের সামনে রিপোর্ট দাখিল করা হবে। এই মুহূর্তে তদন্ত চলবে আদালতের নজরদারিতে। তিনি আরও বলেন, গ্রামবাসীদের ভয় দূর করতে, মনোবল বাড়াতে যাবতীয় পদক্ষেপ করছে রাজ্য। তবে আদালত জানিয়েছে কী পদক্ষেপ হয়েছে তার রিপোর্ট আদালতকে দিতে হবে দ্রুত।