রামপুরহাট: বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা আছে বলেই অভিযোগ। আজ সেখানে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এসডিপিও, ওসি, আইসি কেউ নিজের দায়িত্ব পালন করেননি৷ ডিআইবি-ও নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি৷ যারা দায়িত্ব পালন করেননি তারা শাস্তি পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ অন্য আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, গ্রামের নিরাপত্তার বিষয়টি তারা নিজেরা খতিয়ে দেখবেন।
আরও পড়ুন- ব্রেকিং: ফের অভিষেককে তলব ইডির! এই মাসেই আবার হাজিরার নির্দেশ
হত্যালীলা চলেছে বীরভূম জেলার অখ্যাত এই গ্রাম বগটুইয়ে। অবশ্য এখন আর এই গ্রামকে অখ্যাত বলা যাবে না কারণ গোটা দেশ এই গ্রামের কথা জেনে গিয়েছে। তৃণমূল নেতা খুনের পর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে ১০ জনকে। পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন রয়েছে এই ঘটনায়, আবার গ্রেফতার হয়েছেন খোদ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। কিন্তু পুলিশকে যেই মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারপর তাদের সক্রিয়তা আরও বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন ও রাত মিলিয়ে দু’দফায় ৫৪ জন করে পুলিশকর্মী গ্রামের নিরাপত্তায় থাকবেন। তাঁদের নেতৃত্বে থাকবেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক জন আধিকারিক। এছাড়া গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে নিরাপত্তা জোরদারের খাতিরে।
আজ সকালেই জানা গিয়েছিল অপসারিত এসডিপিও সায়ন আহমেদের জায়গায় দায়িত্বে এসেছেন ঝাড়গ্রামের ডিএসপি ধীমান মিত্র। দ্রুতই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি বিকেলে রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার পরই তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে কর্তব্যে গাফলতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকেও।