আগরতলা: সাত সকালে কু-পিতাকে চাক্ষুষ করল এলাকা৷ নিজের তিন বছর শিশু কন্যাকে কোদাল দিয়ে গলা কেটে হত্যা করলেন পিতা। বিহারের নালন্দা জেলা থেকে আসা ইটভাটা শ্রমিক শিবা চৌহান তার তিন বছরের শিশু কন্যা স্মৃতি কুমারীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোদাল দিয়ে গলার নলি কেটে হত্যা করেন। রবিবার ভোর আনুমানিক ৬ টার সময় এই নারকীয় হত্যা লীলাটি ঘটে গোমতী ত্রিপুরা জেলা উদয়পুর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে মহারানি হীরাপুরস্থিত টিবিআই ইট ভাটায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শিশু কন্যাটির মা অন্যান্য দিনের মত ভোর ৬ টা নাগাদ ঘর থেকে বেরিয়ে ভাটায় ইট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তখন তার স্বামী এবং তিন কন্যা ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। ঠিক এক ঘন্টা পর শান্তি দেবী যেখানে কাজ করছিলেন সেখান থেকে ১০০ মিটার দূরে তার ঘরের সামনে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান। হাতের কাজ ফেলে ঘরের দিকে যখন এগোচ্ছিলেন। ঠিক তখনই তার স্বামী শিবা চৌহান শিশু কন্যার গলা কাটা দেহটি কাঁদে নিয়ে পশ্চিম দিকে ছুটছেন।
ওই সময় ভাটার অন্য শ্রমিকরা এই দৃশ্য দেখে অভিযুক্ত খুনী শিবা চৌহান’কে আটক করে। ততক্ষণে শিশু কন্যাটি আর বেঁচে নেই। শান্তি দেবী নিজ কন্যার মরদেহের পাশে বসে বুক ফাটা চিৎকার করে চলছেন। ভাটার শ্রমিকরা অভিযুক্ত খুনী শিবা চৌহান’কে হাত পা বেঁধে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ খুনী শিবা চৌহান’কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশু কন্যার মরদেহটি পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য গোমতী জেলা হাসপালের মর্গে পাঠায়। ইট ভাটার ম্যানেজার এবং শ্রমিক সর্দার এই হত্যার কারণ সমন্ধে কিছুই জানেন না বলে জানান। জানা যায় ইতিপূর্বেও নাকি খুনী শিবা চৌহান নিজের আরেক সন্তানকে হত্যা করেছিল।