ভাদুকে খুন করেছে ঘনিষ্ঠরা? পুলিশকে কে ‘হুকুম’ দিল, জানতে তৎপর সিবিআই

ভাদুকে খুন করেছে ঘনিষ্ঠরা? পুলিশকে কে ‘হুকুম’ দিল, জানতে তৎপর সিবিআই

রামপুরহাট: তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, অন্য এক তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছিল এবং তাতে সমান অংশীদার ছিল পুলিশ। তবে কি ঘনিষ্ঠরাই খুন করেছে ভাদুকে? আর পুলিশকে বাইরেই থাকার ‘হুকুম’ কে দিয়েছিল? এইসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। সেই উত্তর খুঁজতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে সিবিআই। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসাররা। মনে করা হচ্ছে, সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য হাতে আসতে পারে।

আরও পড়ুন- গত দু’দশকে বাংলায় গণহত্যার বলি ৯১ জন, রামপুরহাট উস্কে দিল সেই ‘অন্ধকার’ স্মৃতি

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই শুরু হয় তাণ্ডব। বগটুই মোড়ে একটি চায়ের দোকানে ছিলেন তিনি। তখন মোটরসাইকেলে করে দুষ্কৃতীরা এসে তার উদ্দেশ্যে বোমা ছোড়ে। এই ঘটনার পরেই পরপর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয় দুষ্কৃতীরা। বগটুই মোড়ের যে সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করেছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা, তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ৪ আততায়ীকে। সেখান থেকে সন্দেহ তীব্র হচ্ছে যে, ঘনিষ্ঠরা কেউ ভাদুকে খুন করেছে। কারণ তিনি কখন, কোথায় থাকবেন, তা তারা আগে থেকেই জানত বলেই অনুমান। আসলে ভাদু শেখের সঙ্গে সব সময় অন্তত হাফ ডজন যুবক ঘুরত বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। কিন্তু ঘটনার সময় তারা কেউ ছিলেন না।

এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, বাড়িতে বাড়িতে আগুন লাগানোর সময় তারা জায়গায় উপস্থিত থাকলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয়দের দাবি, আনারুল পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। সে-ই তাঁদের নির্দেশ দিয়েছিল বাইরে থাকতে। এটা কি সত্যি? নাকি অন্য কেউ পুলিশকে আগে থেকেই ‘হুকুম’ দিয়ে রেখেছিল, তা জানতে তৎপরতা দেখাচ্ছে সিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − one =