কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে বেনজির সংঘাত৷ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বাঁধছে ডিভিশন বেঞ্চ? প্রশ্ন তুললেন তিনি৷
আরও পড়ুন- BJP-র রিপোর্ট তদন্তকে প্রভাবিত করবে, দার্জিলিং থেকে হুঙ্কার মমতার
গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি ও নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ কারণ, বিচারপতি মনে করেছিলেন, সেখানে বড়সড় দুর্নীতি থাকতে পারে। কিন্তু, একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য বা এসএসসি’র পক্ষ থেকে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চে আবেদন করা হয় এবং ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে৷ এমনকী, এসএসসি-র তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশের উপরেও স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এর প্রেক্ষিতে কার্যত ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
তাঁর প্রশ্ন, কেন বারবার স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে? সেই প্রশ্ন তুলেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠান৷ আজকের মধ্যেই তাঁর সেই চিঠি বা আবেদনপত্র দুই বিচারপতির কাছে পৌঁছে যাবে৷ তাঁর অভিযোগ, বিচারপতি ট্যান্ডনের বেঞ্চ বিচারের নামে দ্বিচারিতা করছে৷ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারপতিরা কাজ করতে পারবেন কিনা, সিদ্ধান্ত নিন৷
ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ, সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি খুঁজতে সিঙ্গেল বেঞ্চের হাত বেঁধে দেওয়া হচ্ছে৷ দুই প্রধান বিচারপতির কাছে তাঁর আবেদন, তাঁরা যেন বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে খতিয়ে দেখেন৷ একক বেঞ্চের বিচারপতি দুর্নীতির শিখরে পৌঁছতে চাইছেন৷ অথচ ডিভিশন বেঞ্চ বারবার তাতে স্থগিতাদেশ দিচ্ছে৷ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী মঙ্গলবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চেম্বারে গিয়েছিলেন এবং এক রাজনীতিবিদের নাম নিয়ে এই মামলায় তাঁকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেন৷ কিন্তু, তিনি ওই ব্যক্তিকে তাঁর চেম্বার ছাড়তে বাধ্য করেন৷ এই বিষয়টি নিয়েও তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>