কলকাতা: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের প্রাক্তন সভাপতি গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলের তাণ্ডবের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড়৷ ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এরই মধ্যে আরও একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে৷ এদিকে, হেনস্থার কথা বলতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন উপাচার্য মহম্মদ আলি৷ তিনি বলেন, এত অপমানের পর আর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে থাকতে চান না তিনি৷ ফিরতে চান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ নিজের সেই ইচ্ছার কথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানিয়েছেন বলেও দাবি আলিয়ার উপাচার্যের। এমনকী এই ঘটনার কথা মুখ্যমন্ত্রী এবং আচার্য রাজ্যপালকে জানাবেন বলেও জানান মহম্মদ আলি৷
আরও পড়ুন- তুলনা টানলেন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে! ভারতের অর্থনীতি নিয়ে বড় দাবি মমতার
একটি প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিয়ার উপাচার্য বলেন, ‘‘আমার উপর মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে, হেনস্থা করা হয়েছে, একজন শিক্ষক হিসাবে আমি ভীষণভাবে লজ্জিত৷ একইসঙ্গে আতঙ্কিত৷’’ সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন,‘‘ওদের দেখার পরেই নিরাপত্তারক্ষীকে বলি দরজায় তালা দিয়ে দিতে৷ যাতে ওরা ঢুকতে না পারে। কিন্তু, ওরা নিরাপত্তারক্ষীকেও কার্যত চাপ দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে আসে৷ কিছুক্ষণের জন্য বোর্ড রুমে গিয়ে বসে ছিলাম। ওরা এমনভাবে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে থাকে যে, আবার নিজের ঘরে চলে আসি। ভীষণ অসহায় লাগছিল, দমবন্ধ হয়ে আসছিল।” ওই দিন ঘরে ঢুকে রীতিমতো তুইতোকারি করতে শুরু করে ওরা৷ ছাত্ররা চড় মারব, কান ধরে ওঠবস করাব, এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারে, এমন আচরণ করতে পারে, এগুলো আর নিতে পারছিলাম না৷ বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন উপাচার্য৷ তিনি বলেন, ‘‘একজন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ব্যর্থ বলে মনে হচ্ছিল।’’
উপাচার্য জানান, এরা বহিষ্কৃত৷ ওরা ঢোকার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিল৷ ওরা ঢোকার আগের মুহূর্তে পুলিশকে ফোন করে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের আর কোনও সাড়া পাইনি৷ গিয়াসুদ্দিন প্রথম থেকেই ভীষণভাবে দাপুটে নেতা বলে দাবি করে। কোথা থেকে এত সাহস পায় জানি না। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ফিরে যেতে চাই না। সেখানে কোও সম্মানও নেই৷ নিজেকে সুরক্ষিত মনে হচ্ছে না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যেতে চাই।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>