কলকাতা: বুধবার চরম নাটকীয়তার সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা৷ গতকাল চিনার পার্কে ফ্ল্যাট থেকে যখন কালো গাড়ি চড়ে অনুব্রত বেরিয়েছিলেন, তখন অনুমান করা হয়েছিল তিনি হয়তো সিবিআই দফতরে যাচ্ছেন৷ কিন্তু, মা উড়ালপুল থেকে নাটকীয় বাঁক নেয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি৷ তিনি সোজা চলে যান এসএসকেএম-এ৷ জানান, সহযোগিতা করার ইচ্ছে থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি৷ বৃহস্পতিবার অনুব্রতর খোঁজ নিতে হাসপাতালে পৌঁছল সিবিআই অফিসার৷
আরও পড়ুন- ইডি-সিবিআই দিয়ে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করা হোক! দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন হাসপাতালে প্রায় ১০ মিনিট ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন৷ বৃহস্পতিবার সকালে একাধিক পরীক্ষা হয়েছে অনুব্রতর৷ বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে৷ বিকেলে আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে৷ বুধবারের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনই ছাড়া হচ্ছে না অনুব্রতকে৷ তবে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রয়েছে৷ হৃদযন্ত্রেও কোনও সমস্যা নেই৷ এদিকে, বাড়ি থেকে পাজামা-কুর্তা আনা হয়েছে৷ চাও এসেছে বাইরে থেকে৷ হাসপাতালের চা মুখে তোলেননি তিনি৷
এসএসকেএমের সুপার পীযূষ রায় জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের সুগারের মাপকাঠির ওপরে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। অনুব্রত ইস্যুতে তাঁর বক্তব্য, “দেশের সংবিধানের প্রতি আমরা আস্থাশীল৷ সিবিআই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা আইন মেনে তদন্তে যথাযথ সাহায্য করব৷’’
বুধবার চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়েই সোজা চলে যান এসএসকেএম-এ৷ সেখানে সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি৷ শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকলেও তিনি অক্সিজেন দেওয়ার জন্য বায়না ধরেন৷ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়েও দ্বিবিভক্ত ছিলেন চিকিৎসকরা৷ শেষমেশ তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়৷ এর পরেই সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে তিনি জানান, “সদিচ্ছা থাকলেও অসুস্থতার কারণে হাজিরা দিতে পারছি না। আমি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সিবিআই চাইলে হাসপাতালে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। আমি সব রকম সহযোগিতা করব।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>