ক্যানিং: নদী থেকে সাদা বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে বালি উত্তোলনের কাজ। অভিযোগ, প্রশাসন সব জেনেও অজানা কারণে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না৷ ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমার ঠাকুরান নদীর চরের ঘটনা৷ এখানে বালি তোলা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানিয়ে দিয়েছেন সরকারি কোনও নির্দেশ ছাড়া সাদা বালি উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, (মোরানি)অর্থাৎ মরা কোটাল পড়লেই দেখা যায় পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন এলাকার ১৪-১৫ টি নৌকা ঠাকুরান নদীর চর কেটে হরির খেয়া, কেদারপুরের খেয়া, বালুরঘাট খেয়াঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় বালি তুলতে ব্যস্ত। তবে বালি তোলার ব্যাপারে প্রশ্ন করলেও অধিকাংশ সময়ে মাঝি কিংবা নৌকার লোকজন এড়িয়ে গিয়েছেন বিষয়টি৷
তবে নৌকার মাঝিরা জানান এটাই তাদের শেষ বালি তোলা। কারণ প্রশাসন ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন কোনরূপ কোন বালি তোলা যাবে না৷ সেই নির্দেশ তারা মেনে চলবেন। কিন্তু কাদের নির্দেশে তারা এতদিন বালি তুলছিলেন, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি৷ বাসিন্দারা জানিয়েছে, শাসক বদলালেও এলাকার বালি রাজনীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ সেই একই দাপট রয়েছে৷ ফলে প্রশাসনের যতই ফতোয়া থাকুক তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আদৌ কি বন্ধ হবে অবৈধ ভাবে বালি তোলা? লাখ টাকার এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকার মানুষের মধ্যে৷