বাঁকুড়া: বাজার তো নয়, যেন আগুনের গোলা৷ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। হাঁসফাঁস অবস্থা মধ্যবিত্ত বাঙালির। এই অবস্থায় অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে পথে নামলেন এনফোর্সম্যান্ট ব্রাঞ্চের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা বাঁকুড়া শহরের কৃষক বাজার, দশের বাঁধ, লালবাজার, চক বাজার, মনোহর তলার মতো খুচরো ও পাইকারী বাজারগুলি ঘুরে দেখেন। কথা বলেন ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের সঙ্গেই।
এনফোর্সম্যান্ট ব্রাঞ্চ আধিকারিক গৌতম সেনও স্বীকার করেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেশ চড়া। তিনি বলেন, ‘‘কেউ কেউ অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। প্রথম পর্যায়ে সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে৷’’ যদিও ক্রেতারা শুনিয়েছেন অন্য কথা৷ তাঁদের কথায়, প্রশাসনের নজরদারিতে তল্লাশি হল। কিন্তু দাম কমবে কি করে৷ নিয়মিত তল্লাশি অভিযান হবে না, সেটা সবাই জানে৷
সকালে বাজার করতে আসা পিয়ালী পণ্ডা বলেন, ‘‘জিনিস পত্রের যা দাম কেনার আগে ভাবতে হয়। সাধারণভাবে এই সময়টাতে আলু-বেগুনের দাম কম থাকে। এই বছর সেই আলু বেগুনের দামও অকাশছোঁয়া৷ ফলে বাজার করতে এসে টাকা খরচ করেও কার্যত খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে৷’’ অন্যদিকে বাজারের বিক্রেতা বাসুদেব দাস বলেন, ‘‘আমরা ব্যবসায়ীরা কতো দামে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করছি তা দেখতেই এনফোর্সম্যান্ট ব্রাঞ্চের সদস্যরা বাজারে এসেছিলেন। এই মুহূর্তে তিন-চার টাকা লাভে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷’’ তবে দাম কমবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ক্রেতারা৷ কারণ, ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা বলছে, একবার কোনও জিনিসের দাম বেড়ে গেলে সচরাচর তা আর কমে না৷