দেবময় ঘোষ: বালিগঞ্জে সংখ্যালঘু ভোট তাদের তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। জেতার তেমন সম্ভাবনা ছিলই না। মেনে নিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে ওই বালিগঞ্জ কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থী’র ভোট কমে দিয়েছে। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় যা ভোট পেতেন – তার ধারে কাছেও যাননি জয়ী প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। যাকে এক ধরণের ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ মনে করেছেন সুকান্তবাবু।
শনিবার সুকান্তবাবু জানান, বালিগঞ্জ কেন্দ্রে ৪২ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলই না। বিধানসভা ভোটেই আমরা বড় ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলাম। তৃণমূল এবার সংখ্যালঘু ভোট পায়নি। তা সিপিএমের দিকে গিয়েছে। তবে সুকান্তবাবু’র ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ প্রসঙ্গের অবতারণা বাবুল সুপ্রিয়’র একটি মন্তব্যের ভিত্তিতে। জেতার পর বাবুল জানান, আসানসোলের উন্নয়ন তাঁর হাত ধরেই হয়েছে। তিনি নেই, তাই বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। তিনিও বালিগঞ্জে জিতেছেন। এটি ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ হয়েছেন।
বাবুলের মন্তব্য সাংবাদিকদের মুখে শোনার পর সুকান্তবাবু’র বক্তব্য, তৃণমূল আগে বালিগঞ্জে কত ভোটে জিতত, আর এখন ব্যবধান কত হয়েছে তা দেখতে হবে। এও এক ‘পোয়েটিক জাস্টিস’। “আমি বলতে পারি ২০২৪ সালে আসানসোল থেকে জিততে পারবে না তৃণমূল। স্ট্যাম্প পেপারে লিখে দিচ্ছি।”
বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার জানান, বালিগঞ্জে প্রায় ৪০ জন কর্মী এখনও ঘরছাড়া। আসানসোলে লাগাতার সন্ত্রাস হয়েছে। প্রার্থী’কে বারবার আক্রমণ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দেবজিতের মতে, আনিস খানের মৃত্যু, বগটুই কাণ্ড হয়ে যাওয়ার পর সংখ্যালঘু ভোটাররা আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। বালিগঞ্জে দুটি ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোট সিপিএম পেয়েছে। বিজেপির ৩ হাজার ভোট বেড়েছে – যা সাংগঠনিক দিক থেকে মাইল ফলক বলব। কিন্তু তৃণমূলের ৭৭ শতাংশ ভোট ছিল। তা কেন এই অবস্থা হল দেখতে হবে।
আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী শ্রত্রুঘ্ন সিনহাকে ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়ে কোণঠাসা করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সম্প্রতি আসানসোল পুরনির্বাচনে তৃণমূলের জয় একটি আভাস দিয়েই রেখেছিল যে বিজেপি’র এই আসন ধরে রাখা কষ্টকর হবে।